
প্রথমবারের মতো কানাডার উত্তপ্ত আবাসন বাজারে প্রবেশ করতে উচ্ছুক ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে নতুন উদ্যোগ কবে নাগাদ চালু করা হবে সে সম্পর্কে কোনো সময়সীমা ঘোষণা করেননি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হোম বায়ারস’ বিল রাইটসের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ।
অটোয়াতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রুডো বলেন, বাড়ির দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ স্বল্পতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তা সমাধানের একটি রূপরেখা ফেডারেল বাজেটে উলে øখ করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই রূপরেখা বাস্তবে রূপ নেবে সেটি খোলাসা করেননি তিনি। সমস্যাগুলো বাস্তবিক অর্থে ও সুনির্দিষ্ট উপায়ে সমাধানের অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগুলো, যা পরিবারগুলোকে সহায়তা করবে।
বাজেটে আগামী দশকে দেশে বাড়ির সরবরাহ দ্বিগুন করার প্রতিশ্রুতির দিকেও ইঙ্গিত করেন জাস্টিন ট্রুডো। এর ফলে বছরে বাড়ির সরবরাহ বেড়ে দাঁড়াবে ২ লাখে। আগামী বছর হোম বায়ারস’ বিল অব রাইটস প্রণয়ন ও কার্যকরে প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোর সঙ্গে আবাসন মন্ত্রী আহমেদ হোসেনের পরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়টি গত মাসে ঘোষিত বাজেটে নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্লাইন্ড বিডিং পদ্ধতির অবসানে একটি জাতীয় পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া বাড়ি কেনার আগে পরিদর্শক পাওয়া যে ক্রেতার আইনী অধিকার সেটাও নিশ্চিত করা হবে বিলে।
হোম বায়ারস’ বিল অব রাইটসের অংশ হিসেবে এসব ও অন্যান্য উদ্যোগগুলো চালু করা হবে সে ব্যাপারে একটি তারিখ ঘোষণার ব্যাপারে সরকার সতর্ক আছে। ২০২১ সালে লিবারেলদের নির্বাচনী প্ল্যাটফরমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এটি।
বিলটিকে লিবারেল ও এনডিপির মধ্যকার সাপ্লাই অ্যান্ড কনফিডেন্স এগ্রিমেন্টের অংশ হিসেবেও জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এনডিপি আবাসন নিয়ে আরও কিছু করতে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে।
স্থানীয় বিনিয়োগকারী যাতে বাড়ির সরবরাহ সংকুচিত করতে না পারেন সে লক্ষ্যে একাধিক বাড়ি থাকলে তার ওপর সরকার কর বৃদ্ধি করবে কিনা সে প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেননি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর পরিবর্তে বিদেশি ক্রেতাদের ওপর খড়গহস্ত হওয়ার ব্যাপারে বাজেটে উল্লেখিত প্রতিশ্রুতির বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। বাড়ির দাম বৃদ্ধিতে বিদেশিদের বিনিয়োগকেই দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দুই বছর বিদেশিদের বাড়ির মালিক হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।