যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র শস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনার কথা মঙ্গলবার প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এছাড়া প্রেসিডেন্ট পুতিনের দুই মেয়েসহ তার ডজনখানেক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডা।
ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র পাঠানোর এই পরিকল্পনার কথা ডালহৌসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারের বিশেষ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। কানাডার কাছে তাদের সাম্প্রতিক অনুরোধটি ছিল ভারী অস্ত্র শস্ত্রের সহায়তা। কারণ, যুদ্ধের এই পর্যায়ে এটাই প্রয়োজন। সে অনুযায়ী কানাডা ভারী অস্ত্র শস্ত্র ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আসছে সপ্তাহগুলোতে জানা যাবে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে যেসব অস্ত্রের প্রয়োজন তার একটি তালিকা এ মাসের গোড়ার দিকে প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ১৫৫-মিলিমিটার হেভী আর্টিলারি গান ও অ্যামুনিশন এর মধ্যে অন্যতম। লিবারেল সরকার এর আগে ইউনেক্রেনের সেনাবাহিনীকে মারণাস্ত্র সহায়তা দিতে কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্র মজুদাগারে ঢু মারে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অনীতা আনন্দ ইউক্রেনের জন্য যে ৫০ কোটি ডলারের বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা দিয়ে ভেন্ডরের কাছ থেকে অস্ত্র কিনে সরবরাহের পরামর্শ দেন।
কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান আর্টিলারি হচ্ছে এম৭৭৭ হাউইটজার, ১৫৫-মিলিমিটার শেল। এর মধ্যে ৩০টির বেশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে।
এরইমধ্যে ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র দান করা হয়েছে সেগুলোর চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এম৭৭৭। রাশিয়ার আক্রমণের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সরকার সম্প্রতি একটি এম৭৭৭ ইউনিট মোতায়েন করেছে। লাটভিয়ায় কানাডা নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীকে বহাল করতে এই উদ্যোগ।
আর্টিলারি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অ্যান্ড্রু লেসলির। তিনি বলেন, কানাডা এম৭৭৭ ইউক্রেনে পাঠাতে পারে। তবে অস্ত্রটি রাশিয়ার অ্যাসল্টের কাছে দুর্বল প্রতীয়মান হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনে ৫০টি লাইট আর্মারড ভেহিকেল সরবরাহেরও পরামর্শ দেন লেসলি।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ আরও ১৪ জন রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডা। পুতিনের দুই কন্যা ৩৬ বছর বয়সী মারিয়া ভোরোন্তসোভা ও ৩৫ বছর বয়সী ক্যাটরিনা তিখোনোভাও রয়েছেন তাদের মধ্যে।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া অধিগ্রহণ করার পর থেকে ১ হাজার ১০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়া।