
কানাডার মিত্রদের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর চাপের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও সামরিক ব্যয় বাড়ানোর তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে কীভাবে সেটা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেন নি তিনি।
প্রতিবেশী ইউক্রেনে রুশ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় কি হতে পারে সে কৌশল নির্ধারণে বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে জড়ো হন ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো। জুনের মধ্যে সদস্য দেশগুলোর নিজ নিজ সামরিক ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় সম্মেলনে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্মেলনে বলেন, কানাডা এ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে একম। তবে কানাডার সশস্ত্র বাহিনীতে নতুন করে অর্থায়ন কীভাবে বা আদৌ করা হবে কিনা সে সংক্রান্ত প্রশ্ন সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে বারবার এড়িয়ে যান তিনি। এর পরিবর্তে তিনি তার সরকারের গৃহীত ২০১৭ সালের প্রতিরক্ষা নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। নতুন সরঞ্জাম সংগ্রহ ও কর্মকর্তা নিয়োগে বিপুল অংকের বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে নীতিতে। ট্রুডো বলেন, কানাডা সশস্ত্র বাহিনীতে তার বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে ন্যাটোতে এর অবদানও বাড়িয়েছে।
২০১৪ সালে সব ন্যাটো দেশ আগামী দশকের মধ্যে তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতের জন্য বরাদ্দ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার বলেন, মিত্র দেশগুলো প্রতিরক্ষঅ বাজেট দ্বিগুন করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে আগামী জুনে স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সেই পরিকল্পনা জমা দেবে বলেও জানিয়েছে দেশগুলো।
ন্যাটোর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কানাডার প্রতিরক্ষা বাজেটের আকার জিডিপির ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যদিও লিবারেল সরকার তাদের প্রতিরক্ষা নীতিতে নতুন উড়োজাহাজ, জাহাজ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বিপুল বিনিয়োগের কথা বলা হলেও জিডিপির ২ শতাংশের নিচেই থাকবে বলে মনে করছে ন্যাটো।