আলবার্টায় বৃহৎ পরিসরের কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ স্থাপনা নির্মাণ এবং তা পরিচালনার কাজ পেতে শীর্ষস্থানীয় তেল-গ্যাস কোম্পানি ও প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আদিবাসী কমিউনিটির একটি গ্রুপের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আলবার্টা সরকার প্রদেশজুড়ে যে অসংখ্য কার্বন ক্যাপচার হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে এটি সেগুলোর মধ্যে প্রথম। প্রতিটি কার্বন ক্যাপচার সেন্টার নির্মাণে কয়েক বছর চলে যাবে এবং এতে ব্যয় হবে কয়েক বিলিয়ন ডলার।
গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপাদনকারী পাশর্^বর্তী কোনো কারখানা কার্বন নিঃসরণ করলে সেন্টারগুলো তা সংগ্রহ করে ভুঅভ্যন্তরে সংরক্ষণ করবে। এসব কারখানার মধ্যে আছে তেল পরিশোধন কারখানা অথবা সার কারখানা।
এ ধরনের সেন্টার নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য কয়েক মাস আগেই আগ্রহ প্রকাশ করে শেল, সানকর ও টিসি এনার্জির মতো তেল-গ্যাস কোম্পানি। এ ধরনের প্রথম সেন্টার স্থাপনের জন্য এডমন্টনের উত্তরপূর্বে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হার্টল্যান্ডকে বেছে নিয়েছে। জ¦ালানি তেল, সার ও বিভিন্ন রাসায়নিক উৎপাদনকারী বহু কারাখানা অবস্থিত স্থানটিতে। কাজের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি দরপত্রের কাজ শেষ হলেও বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হবে আগামী মাসে।
একে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে দেখছেন এডমন্টনের ২০০ কিলোমিটার পূর্বে ফ্রগ লেক ফার্স্ট নেশনের প্রধান গ্রেগ ডেসারলেইস। তিনি বলেন, পৃথিবীকে আমাদের এমন জায়গায় রেখে যেতে হবে যেখানে আমাদের নাতী ও পুতীরা বিশুদ্ধ পানি পান করে ও নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে বেড়ে উড়তে পারে। তাই এই বিষয়টিতে আমাদের নজর দেওয়া উচিত।
প্রদেশের অনেক ফার্স্ট নেশন ও মেটিস কমিউনিটির ধারণা তেল-গ্যাস খাতের উন্নয়ন থেকে যে ধরনের সুবিধা তাদের পাওয়ার কথা তা তারা পাচ্ছে না। ওই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনার এটা একটা সুযোগ। এই প্রতিযোগিতায় তার গ্রুপ অতোটা শক্তিশালী না হলেও আমাদেরটাই আদিবাসী নেতৃত্বাধীন একমাত্র প্রস্তাব হওয়ায় একটা সুবিধা পাবো বলে আমরা আশাবাদী। হার্টল্যান্ডে কী ঘটতে যাচ্ছে তা আমরা জানি না। এখানে বড় বড় অনেক প্রতিযোগী রয়েছে।
এ মাসের গোড়ার দিকে ডজনখানেক ফার্স্ট নেশন ও মেটিস কমিউনিটির প্রতিনিধিরা প্রস্তাবিত কার্বন ক্যাপচার প্রকল্প নিয়ে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি বৈঠক করে। ওইসব আদিবাসী নেতাদের বেশিরভাগই এডমন্টন থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে কোল্ড লেক অঞ্চলের।