
ভ্যাকসিনেশন বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রে সার্বিক কিছু পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন টরন্টো মেয়র জন টরি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিনেশন বাধ্যতামূলক করার দাবি সম্প্রতি জোরালো হয়েছে। যদিও সেটা করার কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে ফোর্ড সরকার।
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে ফোর্ড সরকার। জিমসহ কিছু অনাবশ্যক কর্মকা-ে অংশ নিতে পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হওয়ার পক্ষে প্রমাণ দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে।
সিপি২৪কে শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে জন টরি বলেন, কর্মস্থলে আসার আগে কর্মীদের ভ্যাকসিনের পুরো ডোজ গ্রহণ অথবা কোভিডমুক্ত সনদ দেখানোর যে নিয়ম ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক চালু করেছে তা অনেকটাই যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পরামর্শ অনুযায়ী ফেডারেল সরকার যদি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত শিল্পের কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে সেটাও ভালো হবে। তবে জোড়াতালি দেওয়া অসংখ্য নীতি শেষ পর্যন্ত কোনোটাতেই সাহায্য করবে না এবং সুনির্দিষ্ট কোনো নীতি যদি নোও থাকে তাহলে সবচেয়ে বেশি দরকার কিছু নীতিমালা। মোদ্দা কথা হলো কাউকে না কাউকে কোনো না কোনো পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। আমার মনে হয় সেটা প্রদেশ। ইয়র্ক, ডারহাম, পিল ও টরন্টোতে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করছে এবং এই বিশৃঙ্খলা সামাল দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণ অবিশ^াস্যরকম দ্বিধার মধ্যে রয়েছে এবং আমার মতে এটা হুমকি তৈরি করছে।
টরন্টোতে ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী ৮১ শতাংশ মানুষ অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন। উভয় ডোজ নিয়েছেন ৭২ শতাংশ। তারপরও সিটি কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার ওপর জোর দিচ্ছে। ভ্যাকসিনেশনের জন্য গঠিত ১৫০টি কমিউনিটি এজেন্সি ও ২৮০ নেবারহুড অ্যাম্বাসাডর যেখানে ভ্যাকসিনেশনের হার কম সেসব নেবারহুড নিয়মিত পরিদর্শন করছে।
টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ গ্রহীতা এখনও ১ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ রয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সময় হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত তা নেননি।