নুনাভাটের রাজধানীতে পানি সরবরাকারী ট্যাংকে উচ্চ ঘনত্বের জ্বালানির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত হলেও দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে সিটি অব ইকালুইট।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি কর্মকর্তারা জানান, জ¦ালানিটি ডিজেল হতে পারে। আবার কেরোসিন হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সিটি কর্তৃপক্ষের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার অ্যামি এলগারসা বলেন, ট্যাংকটি থেকে সংগৃহীত পানির নমুনা পরীক্ষায় উচ্চ ঘনত্বের জ¦লানির বিভিন্ন উপাদন পাওয়া গেছে।
জ¦ালানির মাধ্যমে দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর মঙ্গলবার কমিউনিটির ৮ হাজার মানুষকে ট্যাপ ওয়াটার পান না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। নুনাভাট সরকার পাত্রে করে পানি আনলেও অনেক অধিবাসী পাশর্^বর্তী নদী থেকে পানি সংগ্রহ করছেন।
এলগারসমা বলেন, নগরীকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে এবং দূষিত ট্যাংকের পানি ট্রাকে ভরে অন্যান্য ট্যাংকে নেওয়া হচ্ছে পরিশোধনের জন্য। ট্যাংকটি খালি হওয়ার পর দূষণের উৎস খতিয়ে দেখা হবে।
পাশাপাশি দূষিত উপাদান সরাতে নগরীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ফ্লাশ করা হচ্ছে। আরও ২৪ ঘণ্টা প্রক্রিয়াটি চলবে। এরপর বাসিন্দাদের ২০ মিনিট ধরে তাদের বাড়ির পাইপ ফ্লাশ করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। দূষিত পানির কারণে যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত করা নিয়ে শঙ্কার কারণে এই অঞ্চলের একমাত্র হাসপাতালটিতেই কেবল জরুরি অস্ত্রোপচার চলবে। এজন্য যতটা সম্ভব একবার ব্যবহার উপযোগী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া মাটিতে দূষিত উপাদানের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট ঘিরে পরিবেশগত মূল্যায়নও করছে সিটি কর্তৃপক্ষ। জ¦ালানির মাধ্যমে পানি দূষণের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নুনাভাট প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাইকেল প্যাটারসন বলেন, কারণ যাই হোক, এটা এমনি এমনি হয়নি। এছাড়া ইকালউটের যেসব বাসিন্দা দূষিত ট্যাপের পানি পান করেছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কিছু নেই। যারা অতিমাত্রায় দূষিত পানি পান করেছেন তাদের মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ও পেট ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। পানিতে ক্যান্সারের কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। আরও পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ বাসিন্দারা আবার ট্যাপের পানি পান করতে পারবেন।