
জ্বালানি দক্ষ হওয়ার উদ্যোগ সত্ত্বেও বর্তমানের মতো আগামীতেও বিদ্যুতের শীর্ষ ভোক্তা দেশের কাতারে থাকবে কানাডা। বুধবার প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুকে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক এ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর জনপ্রতি কানাডিয়ানরা ৩০০ গিগাজুলের বেশি জ¦ালানি খরচ করেছেন। এটা বৈশি^ক গড়ের তিনগুন এবং বিশে^ সর্বোচ্চ। গত বছর কানাডার জ¦ালানি ব্যবহার ছিল আমেরিকানদের চেয়ে সামান্য বেশি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদার দ্বিগুন।
সংস্থাটির পূর্বাভাস বলছে, বাড়িগুলোকে অধিক জ¦ালানি দক্ষ, পাওয়ার গ্রিড থেকে জীবশ্ম জ¦ালানি বাতিল এবং সড়কে অধিক সংখ্যক বৈদ্যুতিক গাড়ি নামানোর ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ কানাডায় জনপ্রতি জ¦ালানির ব্যবহার ৩০০ গিগাজুলের নিচে নেমে আসবে। তারপরও এটাই হবে বিশে^র সর্বোচ্চ জ¦ালানি ব্যবহার। ভারত, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যে জ¦ালানি চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস সত্ত্বেও কানাডায় জ¦ালানির ব্যবহার বৈশি^ক গড়ের তিনগুন থাকবে।
কোন উৎস থেকে কানাডা কি পরিমাণ জ¦ালানি ব্যবহার করছে সে তথ্য প্রকাশ করেনি আইইএ। তবে এ বছরের গোড়ার দিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিপি দেখিয়েছে, ২০২০ সালে কানাডিয়ানরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন তার ৬১ শতাংশের উৎস ছিল তেল ও গ্যাস। ২৫ শতাংশের জোগান এসেছে জলবিদ্যুৎ থেকে। এছাড়া ৬ শতাংশ ছিল পারমানবিক বিদ্যুৎ, ৪ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ¦ালানি এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশের উৎস ছিল কয়লা।
বিপির তথ্য অনুযায়ী, বৈশি^কভাবে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ৫৬ শতাংশই এসেছে তেল ও গ্যাস থেকে। এছাড়া ২৭ শতাংশ উৎস কয়লা, ৪ শতাংশ পারমানবিক বিদ্যুত, ৭ শতাংশ জলবিদ্যুৎ ও ৫ দশমিক ৬ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ¦ালািিন।
উল্লেখ্য, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শন্যে নামিয়ে আনতে গত বসন্তে একটি আইন পাস করেছে কানাডা। তবে আইন পরিপালনে নীতিমালা কি হবে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।