সাংবাদিকরা এখন থেকে আর নিছক পাবলিক ফিগার নন। তাদেরকে অনৈচ্ছিক পাবলিক ফিগার হিসেবে বিবেচনা করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। হয়রানী থেকে সাংবাদিকদের আরও বেশি সুরক্ষা দিতে ফেসবুকের নীতির এই হালনাগাদকে স্বাগত জানিয়েছে দ্য কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব জার্নালিস্টস। তবে প্রযুক্তি খাতে আরও বেশি কিছু করতে হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
ফেসবুক বলছে, অনৈচ্ছিক পাবলিক ফিগার হিসেবে বিবেচনার অর্থ হলো আরও অনেক ধরনের হয়রানী থেকে সাংবাদিকরা সুরক্ষিত থাকবেন।
ফেসবুকের বৈশি^ক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান আন্টিওনি ডেভিস বলেন, চাইলেই পাবলিক ফিগার হওয়া যায় না এবং এ ধরনের খ্যাতি ভয় দেখানো ও হয়রানীর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে কম প্রতিনিধিত্বশীল কমিউনিটি যেমন নারী, কৃষ্ণাঙ্গ বা এলজিবিটি কমিউনিটির সদস্য হলে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা বেশি। আমাদের কর্পোরেট মানবাধিকার নীতিতে উল্লেখিত প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এখন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী (যারা তাদের কাজের জন্য বিখ্যাত হয়েছেন) আরও বেশি সুরক্ষা দেবো।
ফেসবুকের সাবেক ডাটা বিশ্লেষক মার্কিন কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেওয়ার পর নীতিগত এ পরিবর্তন আনলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুরক্ষার কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি অব্যাহতভাবে মুনাফার পেছনে ছুটছে। যদিও ফেসবুক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পিপল’স পার্টি অব কানাডার নেতার এক টুইটার পোস্টকে কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব জার্নালিস্টস (সিএজে) নিন্দা জানানোও এ পরিবর্তনের একটা কারণ। পিল’স পার্টির নেতা ওই পোস্টে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরব হতে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সিএজে বলছে, ম্যাক্সিম বার্নিয়েরের ওই পোস্টের পর কয়েক ডজন সাংবাদিককে ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসেজ পাঠিয়ে ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
দ্য কানাডিয়ান প্রেসসহ অনেক সংবাদ মাধ্যম ওই ঘটনার পর সাংবাদিক হয়রানীর নিন্দা জানায়। এক বিবৃতিতে সিএজে বলে, একটি অবগত ও গণতান্ত্রিক সমাজে শক্তিশালী ও বহুমতের গণমাধ্যম থাকাটা জরুরি। সমালোচনা যেহেতু সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ তাই তাদের এ কাজের জন্য সাংবাদিকদের উদ্দেশে ঘৃণা ছড়ানো বা হয়রানী করা অথবা আক্রমণের পরিকল্পনা কোনো মতেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।