
আন্তর্জাতিক যাত্রীরা শিগগিরই সরকার অনুমোদিত হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ছাড়াই কানাডায় প্রবেশের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। ফেডারেল কর্মকর্তারা বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলছেন, জুলাইয়ের শুরুর দিকে নতুন ব্যবস্থা কার্যকরের আশা করা হচ্ছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক যাত্রীরা কানাডায় প্রবেশের পর কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থাকার সুযোগ পাবেন।
তবে কারা কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন সেই নিয়মে সরকার পরিবর্তন আনছে না বলে জানিয়েছেন ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাইডু। তবে যারা কানাডার প্রবেশের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তারা খুব সহজেই আসতে পারবেন বলে জানান তিনি।
প্যাটি হাইডু বলেন, এখানে পার্থক্য যেটা তা হলো, ভ্যাকসিনের কোর্স সম্পন্ন করেছেন এমন যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। প্রবেশের প্রথম দিনই করা পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থাকার সুযোগ পাবেন তারা।
কাউকে কানাডায় ঢুকতে হলে তাকে অবশ্যই পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণপত্র প্রদর্শণ করতে হবে। সেই ভ্যাকসিনও হতে হবে কানাডায় অনুমোদিত। কানাডা এখন পর্যন্ত চারটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন, ফাইজার ও মডার্না।
এই ব্যবস্থা চালুর সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ সরকার ঘোষণা না করলেও জুলাইয়ের শুরুর দিকে এটি চালু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তঃসরকার বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লাব্লাঁ বলেন, ব্যবস্থাটি চালুর দিনক্ষণ নির্ভর করছে দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হার কি দাঁড়ায় তার ওপর। পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনেটেড বা ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে সরকার প্রদেশগুলো ও বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে কাজ করছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে বিস্তারিত নথি প্রকাশ করা হতে পারে।
তবে জুলাইয়ের গোড়ার দিকে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট যদি চালু করা নাও যায় তাহলেও হোটেল কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হবে। সেক্ষেত্রে অন্তবর্তী সময়ের জন্য ভ্যাকসিনেশনের পক্ষে সাময়িক কোনো প্রমাণপত্র ব্যবহার করা হতে পারে।
ফেব্রুয়ারি থেকে যেকোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইটে কানাডায় প্রবেশকারী আন্তর্জাতিক যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে তিনদিন পর্যন্ত সরকার অনুমোদিত কোনো হোটেলে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। প্রবেশের পরপরই যাদের কোভিড-১৯ সনাক্ত হচ্ছে তাদেরকে অবশ্যই হোটেলে অথবা সরকার নির্ধারিত অন্য কোনো স্থানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিতে থাকা বাঞ্ছনীয়। কেউ যদি সরকার নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে অস্বীকৃতি জানান সেক্ষেত্রে তাকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করার সুযোগ রয়েছে।