
জুলাইয়ের শেষ নাগাদ কানাডা ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার পথে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩ কোটি ৩২ লাখ কানাডিয়ানকে পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য যা যথেষ্ট।
আগস্টের আগেই যোগ্য ৭৫ শতাংশ কানাডিয়ানকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার। তবে মডার্না আরও ১ কোটি ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন জুনের শেষ দিকে অথবা জুলাইয়ের প্রথমে সরবরাহ করতে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাইডু শুক্রবার বিকালে হাউজ অব কমন্সের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটিকে জানান, সব ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য আমাদের কিছু কাজ করতে হয়েছে এবং প্রথম ডোজের মতো দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের রেখাটিও উর্ধ্বমুখী হতে দেখব বলে আমরা আশাবাদী।
প্রথম ১ কোটি ২০ লাখ কানাডিয়ানকে ভ্যাকসিন দিতে সময় লেগেছে চার মাসের বেশি। যদিও পরের ১ কোটি ২০ লাখ কানাডিয়ান ভ্যাকসিন পেয়েছেন মাত্র ৪৩ দিনে। সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান সর্বোচ্চ চার মাস করার নীতি গ্রহণ করে কানাডা। এর উদ্দেশ্য ছিল প্রথম ডোজের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক কানাডিয়ানকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত করা। কিন্তু চলতি মাসে সব প্রদেশ দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগে গতি এনেছে। মে মাসে দৈনিক ৩২ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও জুনে এখন পর্যন্ত দৈনিক ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কানাডা ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে আংশিক ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পেরেছে। পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৬০ লাখ কানাডিয়ান।
১২ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার অনুমোদন এখনও দেয়নি হেলথ কানাডা। তবে ফলের মধ্যেই এই বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে উপাত্ত পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী ফাইজার ও মডার্না উভয়েই। আর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ মডার্না ও ফাইজার আরও ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিশুদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে যত সংখ্যক ডোজের প্রয়োজন সংখ্যাটি তার তিনগুণ। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।