অনলাইন হেইট স্পিচ থেকে কানাডিয়ানদের সুরক্ষা দিতে হাউজ অব কমন্সে একটি বিল এনেছে লিবারেল সরকার। বিলে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টে সংশোধনী এনে ২০১৩ সালে বাতিল করা বিতর্কিত একটি ধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাক স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ধারাটি বাতিল করা হয়।
বিলে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। কমিশনও দোষী ব্যক্তির যোগাযোগ মাধ্যমটি জব্দ অথবা জরিমানা করতে পারবেন।
তবে শিগগিরই বিলটির আইনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, বিলটি উপস্থাপন করা হয়েছে হাউজ অব কমন্সের অধিবেশন মূলতবী ঘোষণার ঘণ্টাখানেক আগে। আর সেপ্টেম্বরের আগে যদি নির্বাচন ঘোষণা করা হয় তাহলে বিলটি আর আলোর মুখই দেখবে না।
অনলাইনে ক্ষতিকর কন্টেন্ট রুখতে আগামী সপ্তাহে একটি রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে বিলটি শক্তিশালী করা হবে। অনলাইনে ঘৃণাত্মক কন্টেন্ট ছড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জবাবদিহিতার আওতায় আনার পরিকল্পনার যে আলোচনা কানাডিয়ানদের তাতে সম্পৃক্ত করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য অনলাইন সেবা কিভাবে হেইট স্পিচ, সন্ত্রাসবাদী কন্টেন্ট, শিশুদের যৌন হেনস্থা ও অনুমোদন ব্যতিরেকে অন্তরঙ্গ ছবি ছাড়ানোর মতো বিষয়গুলো মোকাবেলা করবে সে সম্পর্কিত কিছু নিয়মবিধি থাকবে ফ্রেমওয়ার্কে।
বিচারমন্ত্রী ডেভিড লামেট্টি এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কানাডিয়ানরা চান হেইট স্পিচ ও হেইট ক্রাইমের বিরুদ্ধে তাদের সরকার ব্যবস্থা নিক। আজ আমরা যে ব্যবস্থা নিচ্ছি তা এ ধরনের অপরাধের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেবে। এছাড়া ভুক্তভোগীদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি এ ধরনের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আনা সম্ভব হবে।