
টরন্টোর একটি ছেলেদের ক্যাথলিক স্কুলে আরেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে স্কুলেরই আরেক টিনএজার। ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালের নভেম্বরে, যখন ওই টিএনএজার সেন্ট মাইকেল‘স কলেজ স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল।
ওই সময় অস্ত্রসহ একটি দলবদ্ধ যৌন হেনস্থার সঙ্গে জড়িত ছিল সে। স্কুলের লকার রুমে সে এক বালকের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছিল। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
মামলার বিচার চলকালে ওই টিনএজারের আইনজীবী তার খালাস চেয়ে বলেন, ওই ঘটনায় অংশ না নিলে সেও ভুক্তভোগী হতে পারে এই ভয় থেকেই সে এতে অংশ নিয়েছিল। যদিও ওই টিনএজারের ওপর এ ধরনের কোনো হুমকি ছিল না বলে যুক্তি তুলে ধরেন সরকারি কৌসুলি।
উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে অন্টারিওর আদালতের বিচারক মঞ্জুসা পাওয়াগি শুক্রবার লিখিত রুলিংয়ে বলেন, তার চারপাশে জড়ো হওয়া লোকেরা অভিযুক্তকে ভয় দেখিয়েছিলেন, সেটা অবিশ^াস্য। তার ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করে তাকে ধরতে বলা পাঁচ ব্যক্তির সাক্ষ্য আমি নিয়েছি এবং তারা তার নাম উল্লেখ করেননি। তারা হামলাকারীও ছিলেন না। দলের অন্যরাও সম্ভবত শব্দগুলো শুনেছিলেন। আর কোনো ব্যক্তিই ভুক্তভোগীকে ধরার কাজটি করেননি।
আগামী ১০ আগস্ট এই মামলার সাজা ঘোষণার দিন ধার্য্য করা হয়েছে। কিছু অভিযোগ একাধিকবার আসায় সেগুলোর ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কিনা ওইদিন সেটিও শুনবেন বিচারক।
ওই টিনএজারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে আরেকটি ঘটনায়, যেটা ঘটেছিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে। বিচারক পাওয়াগি পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় এ বছরের গোড়ার দিকে সেগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই মামলায় অভিযুক্তরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কারণে ইয়ুথ ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যাক্টের অধীনে তাদের কারো নামই উল্লেখ করার সুযোগ নেই।
ওই দুটি ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় এবং সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। চলতি মামলার বিচার শুরু হওয়ার আগেই ছয়জনের বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে দুই বছর করে প্রোবেশন দেওয়া হয়। আরও দুইজনকে জেল ব্যতিত প্রোবেশন দেওয়া হয় এবং বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।