কানাডা যেসব ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে তার সবগুলোই সিমপ্টোমেটিক সংক্রমণ প্রতিরোধ, হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু প্রতিরোধে আগের চেয়ে বেশি কার্যকর বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, এসব ভ্যাকসিনের এক ডোজ নিলেও তা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
গত শনিবার প্রকাশিত গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, অন্টারিওতে সনাক্ত উদ্বেগজনক চারটি ধরনের যেকোনো একটির কারণে সিমপ্টোমেটিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে ফাইজার, মডার্না অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের একটামাত্র ডোজ ৪৮ থেকে ৮৩ শতাংশ কার্যকর। এছাড়া এটি প্রয়োগের দুই সপ্তাহ পর ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যু প্রতিরোধে ৭৮ থেকে ৯৬ শতাংশ কার্যকর।
এ ব্যাপারে অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো ও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বলেছে, ভ্যাকসিনের বাস্তব যে কার্যকারিতা তাতে দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের যে চারটি ধরন ছড়াচ্ছে অনুমোদিত তিনটি ভ্যাকসিনের একটি ডোজও সেগুলোর বিরুদ্ধে ভালো থেকে চমৎকার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। আর এসব ভ্যাকসিনের উভয় ডোজের কার্যকারিতা আরও বেশি।
ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে তুলনামূলক বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম ব্রাজিলে সনাক্ত হওয়া পি.১ বা গামা ভ্যারিয়েন্ট। গবেষণা চলাকালে মোট ৩ হাজার মানুষ গামা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজের ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৪৮ শতাংশ কার্যকর। তবে ভ্যারিয়েন্টটির বিরুদ্ধে ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৬০ ও মডার্নার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭৭ শতাংশ।
গবেষণায আরও দেখা গেছে, যারা দুই ডোজের ফাইজার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মাত্র দশমিক ৪ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর বি.১.১.৭ বা আলফা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে মডার্নার ভ্যাকসিন নেওয়া দশমিক ২ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহীতা দশমিক ১ শতাংশকে।
অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চলমান একই ধরণের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আংশিক ভ্যাকসিন নেওয়া মাত্র দশমিক ১৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে একই সময়ে সিম্পটম দেখা দিয়েছে। উভয় ডোজ গ্রহীতাদের মধ্যে এ হার আরও কম, মাত্র দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
গবেষণায় অন্টারিওর মোট ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, যারা হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন অথবা ভ্যাকসিন নিয়েছেন অথবা আক্রান্তও হয়েছিলেন এবং ভ্যাকসিনও নিয়েছেন।