
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচিতে পারিবারিক চিকিৎসকের ভূমিকা জোরদার করার ব্যাপারে অন্টারিও সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। যেসব নাগরিক এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিনই পাননি তাদের কাছে পৌঁছানোর অংশ হিসেবে ভ্যাকসিনেশনে কার্যক্রমে আরও বেশি সংখ্যক পারিবারিক চিকিৎসককে অন্তর্ভূক্ত করার আশা করা হচ্ছে বলে এ সপ্তাহে জানিয়েছেন প্রাদেশিক কর্মকর্তারা।
অন্টারিও কলেজ অব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানসের প্রেসিডেন্ট ডা. লিজ মুগাহ বলেন, বৃহস্পতিবার এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমাদের সংগঠন ওইটুকুই জানে। কলেজের পক্ষ থেকে এ সংবাদকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি এবং সরকারের কাছ থেকে শিগগিরই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেখতে চাই আমরা।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে পরিকল্পনাটি কি, যা আমরা শুরুতেই বলেছিলাম। এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করা হোক, যাতে করে কখন কি হতে যাচ্ছে তা আমরা জানতে পারি এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারি।
অফিসে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে যেসব পারিবারিক চিকিৎসককে অটোয়াভিত্তিক চিকিৎসকরা আছেন তাদের মধ্যে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ৭০০ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অন্টারিওতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দিচ্ছে এমন হাজারো ফার্মেসি ও অন্যান্য ক্লিনিকের তুলনায় যা ঢের কম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়টের একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, অন্টারিওতে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। জনস্বাস্থ্য ইউনিটগুলো এখন এসব কেন্দ্রের জন্য আরও বেশি ভ্যাকসিন চাইতে পারে। স্থানীয় চাহিদার নিরিখে জনস্বাস্থ্য ইউনিটগুলো ধরণভেদে ক্লিনিকগুলোতে ভ্যাকসিন বরাদ্দ দিয়ে থাকে।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই অন্টারিওর প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহণের হার ৮০ শতাংশের নিচে রয়েছে। এখনও যারা ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নন তাদের কাছে পৌঁছাতে চিকিৎসক-রোগী সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করছে প্রদেশ।
ঠিক কত সংখ্যক পারিবারিক চিকিৎসককে এ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা হবে বা কবে থেকে তা শুরু হবে সে সম্পর্কিত কোনো লক্ষ্যমাত্রা এখনও নির্ধারণ করেনি অন্টারিও। সলিসিটর জেনারেল সিলভিয়া জোন্স এ সপ্তাহে বলেন, চূড়ান্ত বিচারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা চিকিৎসকের কার্যালয় ও ফার্মেসির মাধ্যমে প্রয়োগ করতে চাই, যেমনটা হয়ে থাকে ফ্লু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে।
অন্টারিওর চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বকারী আরেকটি সংগঠন দ্য অন্টারিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে পারিবারিক চিকিৎসকদের সম্পৃক্ততা যাতে যতটা সম্ভব অব্যাহত থাকে সেটা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে তারা। চিকিৎসকের কার্যালয় থেকে অধিক সংখ্যক এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রদানও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত।
এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছে অন্টারিও কলেজ অব ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস। তাতে দেখা যাচ্ছে, কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ সদস্য ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। অনেক চিকিৎসক গণ ভ্যাকসিন ক্লিনিক ও অন্যান্য ভ্যাকসিন কেন্দ্রে কাজ করলেও নিজেদের অফিসে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে তারা আরও বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম বলে মত দিয়েছেন।