গ্রেটার টরন্টো এরিয়াভিত্তিক দুটি গ্রুপের বিষয়ে মাসব্যাপী তদন্তের পর ২২ জনকে গ্রেপ্তার ও ১ কোটি ডলার মূল্যের মাদক জব্দ করেছে অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কানাডায় কোকেন আমদানির অভিযোগ রয়েছে।
ডিটেক্টিভ ইন্সপেক্টর জিম ওয়াকার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালের মার্চে গ্রুপগুলোর ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করে অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ এবং ওই অঞ্চলে তদন্ত চলমান আছে জানতে পেরে দ্রুত ইয়র্ক পুলিশের সহযোগিতা নেয়। গ্রুপ দুটি আলাদাভাবে কাজ করতো। একটি গ্রুপের দায়িত্ব ছিল কলম্বিয়া থেকে কোকেন পাচার করে কানাডায় আমদানি করা। কাপড়ের চালানে লুকিয়ে তারা এসব মাদক আমদানি করতো। এরপর গোপন ল্যাবে নিয়ে সেগুলো বিক্রয় উপযোগী করতো। আরেকটি গ্রুপ ক্যারিবিয়ান থেকে কোকেন আমদানি করতো। একই সঙ্গে তারা কানাডা থেকে অবৈধ গাঁজা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিও করতো।
জিম ওয়াকার বলেন, সংঘবদ্ধ এই অপরাধ চক্রের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমরা পরিস্কার হতে চাই। আমাদের কমিউনিটির নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে তারা এই অবৈধ কর্মকা-ে অংশ নিয়েছে।
মাদক আমদানি ও চোরাচালানের অভিযোগে যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭ জুলাই। ওইদিনই পুলিশ গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি তল্লাশি চালায়। ক্যারিবিয়ান থেকে আমদানির চেষ্টাকালে যে ৮৬ কিলোগ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়েছে তাতে কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) এবং রয়্যাল মাউন্টেড কানাডিয়ান পুলিশ (আরসিএমপি) সহায়তা দিয়েছে বলে জানান জিম ওয়াকার।
সবমিলিয়ে তদন্তে ৯২ কিলোগ্রাম কোকেন, এক কিলোগ্রাম মেথামফেটামিন, ২৪৯ কিলোগ্রাম অবৈধ গাঁজা, ১.৩ কিলোগ্রাম সিলোসিবিন, ২৫৫ গ্রাম এমডিএমএ, ৯৮০টি অক্সিকোডোন পিল ও ২৫৫ গ্রাম কেটামিন জব্দ করেছে পুলিশ। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ডলার।
পাশাপাশি সাতটি যানবাহন, একটি হ্যান্ডগান, প্রায় ৪ লাখ ডলার নগদ অর্থ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটও জব্দ করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ১৩৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সুখজিত ঢালিওয়াল নামে ৪৭ বছর বয়সী একজন এখনও পলাতক রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।