অন্টারিও গত অর্থবছর পরিকল্পনার চেয়ে ১০ বিলিয়ন ডলার কম খরচ করেছে বলে জানিয়েছে দ্য ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিস। মহামারি মোকাবেলায় সরকার এ তহবিল বিনিয়োগ না করায় বিরোধিদের সমালোচনার মধ্যেই বুধবার এ তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি।
দ্য ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০২০-২১ অর্থবছর সরকার ২২ দমমিক ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছিল। এর বিপরীতে কম ব্যয় হয়েছে ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে পরিকল্পনার চেয়ে কম ব্যয় হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার এবং বছর শেষে আপতকালীন ব্যয়ের জন্য রাখা হয়েছে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। অন্টারিওর নিট ঋণ কমাতে এ অর্থ কাজে লাগানো হবে। সরকারের ঋণের পরিমাণ ৪০০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে প্রাক্কলন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেন, স্বাস্থ্য খাতে পরিকল্পনার চেয়ে কম ব্যয় হওয়ার কারণ মহামারির কারণে কিছু সেবার চাহিদা কমে যাওয়া। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় কোভিড-১৯ তদারকি, সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে জনস্বাস্থ্য খাতের ব্যয় হ্রাস পাওয়াও আরেকটি কারণ।
২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয়ও পরিকল্পনার জন্য ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার কম হয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে পরিকল্পনার চেয়ে কম ব্যয় হয়েছে গড়ে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে গত দশকের তুলনায় এ বছর ব্যয় কমার পরিমাণ অনেক বেশি।
ট্রেজারি বোর্ডের প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, মহামারি মোকাবেলার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর সার্বিক ব্যয় বেড়েছে ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। স্বাস্থ্য তহবিল অথবা জনগণের সহায়তা ও চাকরি তহবিলে কোনো অর্থই অবশিষ্ট নেই।
ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে ২৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। গত বাজেটের সময় সরকার ঘাটতি প্রাক্কলন করেছিল ৩৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। পূর্বাভাসের তুলনায় ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বেশি রাজস্বের ভিত্তিতে ঘাটতির হিসাবটি করা হয়েছে। কারণ, বাজেটের পর থেকে অন্টারিওর অর্থনীতির ভালো অবস্থা দেখা যাচ্ছে।