দীর্ঘ লকডাউন শেষে রিওপেনিং পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপ থেকে বেরোনোর পর অন্টারিওর বিধিনিষেধের চিত্রটা কেমন হবে সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছে সরকার। মাস্কের ব্যবহার থাকবে ওই সময়েও। অন্টারিও বর্তমানে রিওপেনিং পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপে অবস্থান করছে। এই ধাপে সক্ষমতা সীমিত করার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ বহাল থাকলেও সব ধরনের ব্যবসাই পরিচালনার সুযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিনা এলিয়টের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বলেন, রিওপেনিং রোডম্যাপ থেকে বেরিয়ে আসার পর সক্ষমতা সীমিতকরণসহ জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রায় সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে। অল্প কিছু বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। স্ক্রিনিং ও ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা পরিকল্পনা এর মধ্যে অন্যতম। অন্য প্রদেশে না হলেও অন্টারিওতে এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি এবং ইনডোরে মাস্ক পরিধান অব্যাহত থাকবে।
১১ জুন প্রথম ধাপে প্রবেশের মধ্য দিয়ে রিওপেনিং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে অন্টারিও। এরপর সাত সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। অন্টারিও দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করে ৩০ জুন। তৃতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে দুই সপ্তাহ আগে ১৬ জুলাই। অন্টারিও তৃতীয় ধাপে কমপক্ষে ২১ দিন থাকবে বলে জানিয়েছে ফোর্ড সরকার। এই ধাপ থেকে বেরোনোর আগে ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী ৮০ শতাংশ নাগরিককে অন্তত এক ডোজ এবং ৭৫ শতাংশকে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিতে হবে।
অন্টারিওতে ১২ বছর ও তা বেশি বয়সী ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ নাগরিক এখন পর্যন্ত উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন। অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮০ শমিক ২ শতাংশ। এছাড়া প্রত্যেকটি জনস্বাস্থ্য ইউনিটকে ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী অন্তত ৭০ শতাংশ নাগরিককে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। টরন্টো শুক্রবারই এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
তবে ঠিক কবে নাগাদ অন্টারিও তৃতীয় ধাপ থেকে বের হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়নি। যদিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড শুক্রবার বলেন, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও আগস্টের মাঝামাঝি সময় নাগাদ এটা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।
তৃতীয় ধাপ থেকে বেরিয়ে আসার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ না করা হলেও এই ধাপ শেষে পরিস্থিতি কি হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা শুক্রবার প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়টের কার্যালয়। তাতে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপ থেকে বেরিয়ে আসার পর সব খাতের সক্ষমতা এবং সামাজিক জমায়েত ও পাবলিক ইভেন্টের ওপর যে বিধিনিষেধ আছে তা প্রত্যাহার করা হবে। তবে রেস্তোরাঁয় প্যাট্রনের মধ্যে দুই মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে সেখানে মাস্ক পরিধান করতে হবে।