
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে অর্থাৎ এপ্রিল ও মে মাসে ফেডারেল সরকারের বাজেট ঘাটতি প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রথম বছর নজীরবিহীন ব্যয়ের পর চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের এ ঘাটতি অনেক কম।
অর্থ বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এপ্রিল ও মে মাসে ফেডারেল সরকারের বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের একই সময়ে যেখানে ঘাটতি ছিল ৮৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
ঘাটতি কমে আসার বিষয়টি প্রত্যাশিতই ছিল বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ। কারণ, গত স্প্রিংয়ে অর্থনীতিতে যে ঐতিহাসিক ধস নেমেছিল সেখান থেকে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। ওই সময় ফেডারেল সরকারকে জরুরি সহায়তা হিসেবে বিপুল অংকের অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল, যা ছিল নজীরবিহীন। এখন যে বাজেট ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তা তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে আরোপিত লকডাউনের ফলে জরুরি সহায়তা বাবদ ব্যয়ের ফলে। এই ফলে জরুরি সহায়তায় ইতি টানার কথা রয়েছে।
জরুরি সহায়তা হিসেবে এপ্রিল ও মে মাসে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৭৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় যা ৩৭ বিলিয়ন ডলার বা ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল ও মে মাসে রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বা ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের এপ্রিল ও মে মাসে ফেডারেল সরকারের রাজস্ব আহরিত হয়েছিল ৩২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এ অবস্থা তৈরি হয়েছিল মূলত মহামারির কারণে অর্থনীতির বৃহদাংশ স্থবির হয়ে যাওয়ার ফলে রাজস্বে ব্যাপক পতনের সুবাদে।
এই সময়ে সরকারি ঋণের চার্জ ৩০০ মিলিয়ন ডলার বা ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।