
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কাউইচান ভ্যালির ৬৫ বছর বয়সী ক্রিস শার্লকের খ-কালীন মিউজিশিয়ানের কাজটা মহামারির শুরুর দিকেই গেছে। বাধ্য হয়ে জরুরি সহায়তা নিতে হয়েছে তাকে। ২০২০ সালের পুরো সময়জুড়েই কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিটের আওতায় মাসিক ২ হাজার ডলার করে নেন তিনি। এই সহায়তাই স্বল্প আয়ের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য নিয়মিত যে সম্পুরক আয় তা থেকে বঞ্চিত করেছে তাকে।
শার্লকের ভাষায়, এটা আমার কাছে বড় ধরনের আঘাত। কারণ, দুই দশক ধরে আমাকে চুক্তিভিত্তিতে ট্রি প্ল্যান্টার হিসেবে কাজ করতে হয়েছে এবং কোম্পানির তরফ থেকে কোনো পেনশনের ব্যবস্থা নেই। কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিটের কারণে যে নিশ্চিত সম্পূরক আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে সে ব্যাপারে আমাকে কখনও কেউ সতর্ক করেনি।
এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার শালর্ক একা নন। আরও অনেক জ্যেষ্ঠ নাগরিককেই একই অবস্থায় পড়তে হয়েছে। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী কানাডিয়ানদের কাছ থেকে এ ধরনের শত শত কল তারা পাচ্ছে নিউ ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। গত বছর মহামারির সময় জরুরি সহায়তা তহবিলের ওপর নির্ভর করার কারণে মাসিক সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
লিবারেল সরকারের তিনজন কেবিনেট মন্ত্রীকে এ নিয়ে চিঠি লিখেছেন এনডিপি এমপি ড্যানিয়েল ব্লেইকি। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সিইআরবি এবং কানাডা রিকভারি বেনিফিটের আওতায় সরকারি সহায়তা নেওয়ার কারণে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের অনেকেই নিশ্চিত মাসিক সম্পূরক আয় প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছেন বা আয় হ্রাসের মুখে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিল পরিশোধের মতো পর্যাপ্ত আয়ও মাস শেষে তারা পাচ্ছেন না। গত বছর যে আশঙ্কা আমরা পোষণ করেছিলাম এ বছর তা দেখতে পেলাম। কানাডার দরিদ্র জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সঙ্গে এটা করা আমাদের উচিত নয়।