শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
5.6 C
Toronto

Latest Posts

দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও আতঙ্কের কারণ দেখছে না অন্টারিও

- Advertisement -
অন্টারিও প্রাদেশিক সরকার করোনার সাম্প্রতিক বৃদ্ধিতে আতঙ্কিত নন

কোভিড-১৯ এর দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া প্রত্যাশিত এবং এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। রিওপেনিং পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপ থেকে বেরিয়ে আসার মুহূর্তে এই মন্তব্য করলেন প্রদেশের শীর্ষ চিকিৎসক।

টানা তিনদিন প্রদেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩০০ এর বেশি ছিল, সপ্তাহ শেষে যা দৈনিক গড় সংক্রমণ ৩০৬-এ নিয়ে গেছে। সাতদিনের ভিত্তিতে দৈনিক গড় এতো বেশি ছিল সর্বশেষ জুনে।

- Advertisement -

মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. কিয়েরান মুর বলেন, গত সপ্তাহজুড়ে প্রদেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে হলেও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ফল এগিয়ে আসায় এ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে ধরে নিতে পারেন অন্টারিওবাসী। এতে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে-কমবে। আমাদের ধারণা বলছে এটা বাড়তে থাকবে। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণের মধ্য দিয়ে সংক্রমণের হঠাৎ বৃদ্ধি আমাদের সবার দায়িত্ব।

আগেভাগেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘ ছুটি এবং জুলাইয়ের শেষ কয়েক সপ্তাহজুড়ে তৃতীয় ধাপে কিছু কর্মকা- খুলে দেওয়াকে দায়ি করেন মুর। তিনি বলেন, আগস্টজুড়েই আক্রান্তের ধীর গতিতে বাড়বে বলে মনে হচ্ছে এবং ইনডোরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে সঠিক কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং সংক্রমণ সীমিত করে আনার সক্ষমতা জনস্বাস্থ্য ইউনিটগুলোর রয়েছে। বয়স্ক নাগরিকদের সিংহভাগ সুরক্ষিত থাকায় আমরা ধারণা করতে পারি অসুস্থ্যতার কারণে যাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়বে তারা মূলত তরুণ, যেমনটা আমরা দেখেছি তৃতীয় ঢেউয়ের সময়।

ভ্যাকসিনেশনের উচ্চ হার ও মাস্ক পরিধান সংক্রান্ত প্রটোকলগুলো সঠিকভাবে পরিপালনের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের একটা সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন ডা. মুর। তিনি বলেন, অন্টারিওতে আমরা সত্যিই যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে একে আমরা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবো। কমাতে পারবো এর প্রভাব। সেই সঙ্গে কমাতে পারবো মৃত্যুহার এবং এর ফলে অনেক কম সংখ্যক তরুণ মারা যাবেন।

ডা. মুরের তথ্য অনুযায়ী, অন্টারিওতে ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী ৮১ শতাংশ নাগরিক প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৭৫ শতাংশের যে লক্ষ্যমাত্রা তা থেকেও মাত্র ৩ শতাংশ পিছিয়ে আছে প্রদেশটি। তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে। ভ্যাকসিনেশনের উচ্চ হার আমাদের নিরাপদে উন্মুক্তকরণের সুযোগ করে দেবে।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.