কানাডার সংগৃহীত ভ্যাকসিনের মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ ডোজ এখনও ব্যবহার করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্রিজবন্দি অবস্থায় আছে সেগুলো। হেলথ কানাডা ও প্রদেশগুলোর ভ্যাকসিন বিতরণ ও প্রদান সম্পর্কিত উপাত্ত থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর মধ্যে জাতীয়ভাবে মজুদ আছে প্রায় ১ কোটি ডোজ। বাকি ১ কোটি ১৭ লাখ ফেডারেল সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন প্রদেশ ও আঞ্চলিক সরকারকে সরবরাহ করা হয়েছে এবং এখনও প্রয়োগ করা হয়নি।
জুনের প্রথম দিক পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনই তাৎক্ষণিকভাবে প্রদেশগুলোকে সরবরাহ করেছে অটোয়া। কিন্তু চাহিদা কমে আসায় ও প্রদেশগুলোর এতো বেশি ডোজের প্রয়োজন না পড়ায় ফেডারেল সরকার জরুরি ব্যবহারের জন্য মজুদ শুরু করে। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ ডোজে, যা কানাডায় এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা ভ্যাকসিনের ১৩ শতাংশের বেশি।
২ কোটি ৩৬ লাখ কানাডিয়ান এরই মধ্যে উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই পেয়ে গেছেন। এ সংখ্যা কানাডার ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী মোট জনসংখ্যার ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ। কানাডা ডের পর থেকেই দেশে ভ্যাকসিন গ্রহণ কমে গেছে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাাহে যেখানে প্রয়োগ করা হয়েছিল প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ ডোজ।
ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী অনীতা আনান্দ বলেছেন, কি পরিমাণ মজুদ হলে তাকে অতিরিক্ত বলা যাবে এবং অন্য দেশগুলোকে অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হবে কিনা, চলতি বছরই তার প্রয়োজন হলে কিভাবে তা দেওয়া হবে এখন পর্যন্ত আমরা সেটা জানি না। এখনও আমরা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের ওপর ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের আশা করছি এবং সেজন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাটা জরুরি।
এরই মধ্যে কানাডা ফাইজারের কাছ থেকে ২০২২ সালে সরবরাহের জন্য ৩ কোটি ৫০ লাখ ও ২০৩০ সালের জন্য আরও ৩ কোটি বুস্টার ডোজ কিনেছে। বুস্টার ডোজ প্রয়োগের সুপারিশ কানাডা এখনও করেনি। যদিও জার্মানিসহ কিছু দেশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এমন ব্যক্তিদের মধ্যে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করছে। বুস্টার ডোজের বিষয়টি এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম।