ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার টফিনো ফার্স্ট নেশন প্রধানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার প্রথম ন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন দিবসে তারা প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ট্রুডোর অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কানাডার আবাসিক স্কুল ব্যবস্থা নিয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা স্মরণ করার দিন বৃহস্পতিবার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার টফিনোতে যান জাস্টিন ট্রুডো। সেখানে সমুদ্র সৈকতে প্রধানমন্ত্রীর হাটার দৃশ্য ধারণ করে গ্লোবাল নিউজ। তবে ট্রুডো এক টুইটে বলেন, আবাসিক স্কুলের ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ওই দিনটি কাটান। অটোয়ার পরিবর্তে তার পশ্চিম উপকূলে থাকার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর টুইটটি করেন তিনি।
তার এ ভ্রমণ নিয়ে আদিবাসী নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। তারা বলেন, আবাসিক স্কুলের ভুক্তভোগীদের সম্মান জানিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিতি না হওয়াটা তার নিজের জন্যই অসম্মানের।
এ বছরের গোড়ার দিকে সাবেক ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কামলুপসের একটি আবাসিক স্কুলে ২০০ এর বেশি কবর পাওয়ার খবর দেওয়া টিকে’এমপ্লাপস টে সেকুয়েপএমসি নেশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি সহৃদয় আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কাছে পাঠানো হয়েছিল পত্রগুলো।
এ ঘটনার পর ট্রুডোর অফিস থেকে রোববার বলা হয়েছে, আগের দিন তিনি টিকে’এমপ্লাপস টে সেকুয়েপএমসি নেশনের প্রধান রোজানে কাসিমিরের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কথোপকথন ও ক্ষমা চাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন ফার্স্ট নেশনের একজন মুখপাত্রও। তবে এর বেশি জানাতে চাননি। তবে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী তার সফরের বিষয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বলে তার অফিস থেকে বলা হয়েছে।