বন্ধুদের সঙ্গে খেতে গেলে বা স্থানীয় সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে গেলে তরুণদের ব্যাকপ্যাক ও ওয়ালেটে পরিচয়পত্রটি জরুরি হয়ে ওঠে না। অথচ অন্টারিওর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু স্থানে যেতে হলে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিনেশনের পক্ষে প্রমাণপত্রের পাশাপাশি পরিচয়পত্র বহন করতে হবে। পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব কার্ড, ড্রাইভার’স লাইসেন্স ও হেলথ কার্ডের যেকোনো একটিকে পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেক্সান্দ্রা হিলকেন বলেন, রেস্তোরাঁ, জিমের মতো স্থাপনায় যেতে চাইলে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি বা ডিজিটাল ভার্সনের সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়ার পক্ষে প্রমাণপত্র হাজির করতে হবে। পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ডিজিটাল ভার্সন সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়। তবে তরুণদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
রেস্টুরেন্টস কানাডা বিষয়টিতে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেমস রিলেট। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমারেদ সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করা হয়নি। অন্টারিওর তরুণদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। কারণ, তাদের অনেকেই প্রাত্যহিক কাজে পাসপোর্ট ও জন্ম সনদ সঙ্গে রাখেন না। এ কারণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাদেরকে প্রবেশ করতে দেবেন কিনা সে ব্যাপারে। কর্মীদেরও এতে বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। কখনও কখনও কর্মীদেরকে গ্রাহকের পরিচিতির বিষয়ে সঙ্গে থাকা ব্যক্তির কাছ থেকে প্রত্যয়ণ নিতে হয়।
তবে এ ব্যাপারে ব্যতিক্রম কিছু করার ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বেশ মাত্রায় সতর্ক থাকতে হয়। এ প্রসঙ্গে রিলেট বলেন, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের খাড়ায় পড়তে হয় কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন খাকতে হয় অধিকাংশকে। অনেকেই তাদের নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন। যদিও আইন অনুযায়ী এ ধরনের ক্ষমতা তাদের নেই। ভ্যাকসিনেশন নীতি সংক্রান্ত তথ্যগুলো ধাপে ধাপে আসছে এবং ব্যস্ত পরিচালকদের বৈধ নথিপত্র যাচাইয়ের মতো পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ থাকে না। সরকার যদি সহজে পড়া ও বোঝা যায় এমন কোনো নির্দেশিকা ও নির্দেশনা রেস্তোরাঁগুলোকে দেয় তাহলে সেটা হবে সত্যিই খুব উপকারী।
একই ধরনের উদ্বেগের কথা শুনিয়েছে দ্য কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসেস। সংগঠনটির অন্টারিও বিষয়ক পরিচালক জুলি কিয়েসিনস্কি বলেন, বিকল্প পরিচয়পত্র না থাকলে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের জন্ম সনদ বা পাসপোর্ট বহন করতে দেওয়ায় উদ্বেগে থাকেন। তরুণদের জন্য ফটোকপির বিষয়টিও সহজগম্য নয় এবং অনেক অভিভাবক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এ ব্যাপারে সচেতনও নন। অধিকন্তু এ নীতি তরুণদের ক্ষেত্রে আদৌ প্রযোজ্য কিনা সে ব্যাপারেও দ্বিধায় থাকে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাই নিয়মগুলোর বিষয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন কিয়েসিনস্কি।