
যেসব কানাডিয়ান বাসিন্দা ফেডারেল কানাডা রিকভারি বেনিফিট থেকে সহায়তা পেয়েছেন তাদের সিংহভগাই তা অব্যাহতভাবে ও একাধিকবার পেয়েছেন। সরকারের অভ্যন্তরীণ এক বিশ্লেষণে এমনটাই উঠে এসেছে।
এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কানাডার মূল্যায়ণ অনুযায়ী, জুনের প্রথমদিক পর্যন্ত ১৮ লাখ একক সুবিধাভোগীর মধ্যে ১৫ লাখ অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ অব্যাহতভাবে একাধিকবার সুবিধাটি ভোগ করেছেন। এদের মধ্যে ৬ লাখ ২৭ হাজার জন আবার একসঙ্গেই কয়েক মাসের সুবিধা পেয়েছেন।
২০২০ সালে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে চালু করার পর ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সিআরবির অধীনে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তুু জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ ১২ লাখ ২০ হাজার জন সুবিধাটি নিলেও পরবর্তীতে চাহিদা কমে আসে। শেষ পর্যন্ত এ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন ৮ লাখ মানুষ।
বৃহস্পতিবার এ বেনিফিট প্যাকেজে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, কয়েক মাস আগের তুলনায় কানাডার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত হওয়ায় সিআরবির আর প্রয়োজন নেই। গত বছর মহামারির শুরুতে যে ৩০ লাখ কর্মসংস্থান হারিয়েছিল তাও পুনরুদ্ধার হয়ে গেছে।
অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, একইভাবে বেতনে ভর্তুকিরও আর প্রয়োজন নেই। যেসব কোম্পানি নতুন করে কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে তাদের জন্য বড় ধরনের ঋণেরও প্রস্তাব দেন তিনি।
ফেডারেল কর্মকর্তারা তার মূল্যায়ণে বলেছে, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই প্রথমবারের মতো সিআরবির জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা কমতে থাকে। সিআরবির প্রথম চার মাসে যেসব গ্রহীতা অর্থ পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৬ লাখের বেশি জুনের শুরুতে এ থেকে সরে আসেন।
সিআরবির পরিবর্তে লিবারেল সরকার সপ্তাহে ৩০০ ডলারের একটি কর্মসূচি চালু করেছে, যার সুবিধা পাবেন কেবলমাত্র সরকার আরোপিত লকডাউনের ফলে চাকরি বা আয় হারিয়েছেন এমন কর্মীদের কাছে।
রোববার টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কর্মসংস্থান মন্ত্রী কার্লা কোয়ালট্রু বলেন, সুবিধা যাবে কেলব পূর্ণ লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও যারা সীমিত সক্ষমতা নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছে যেসমন রেস্তোরাঁ তারা এ সুবিধা পাবে না।