অন্টারিওর ইউনিভার্সিটি অ্যাথলেটিক্সে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কোচ ও প্রশাসক সবখানেই শে^তাঙ্গদের অতিমাত্রায় আধিক্য। নতুন এক প্রতিবেদনে ইউনিভার্সিটি স্পোর্টসে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের এ চিত্র উঠে এসেছে।
সোমবার প্রকাশিত জোসেফ রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রদেশের তিন-চতুর্থাংশেল বেশি কোচ ও প্রশাসক শে^তাঙ্গ। পাশাপাশি শিক্ষার্থী অ্যাথলেটদেরও দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শে^তাঙ্গ।
অন্টারিও ইউনিভার্সিটি অ্যাথলেটিক্স প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্য বর্ণের যেসব কোচ রয়েছেন তাদের বেশিরভাগ স্বেচ্ছাসেবক অথবা বেতন বা বৃত্তি পেলেও তা মৌসুমি। ভিন্ন বর্ণের প্রশাসকদেরও বেশিরভাগই সহকারী, খ-কালীন অথবা শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করেন। এর অর্থ হলো অন্টারিও ইউনিভার্সিটি অ্যাথলেটিক্সে সবচেয়ে কম বেতন পান তারাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার ইউনিভার্সিটিগুলোর ওপর পরিচালিত সবিস্তার গবেষণাও একই তথ্য দিচ্ছে। যেখানে প্রার্থীদের বড়সড় পুল থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ, ধরে রাখা, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী, কর্মী ও ফ্যাকাল্টির পদন্নতির গতি অত্যন্ত ধীরগতির।
দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈষম্য এ ব্যবধানের জন্য দায়ী বলে কোচিং ও প্রশাসনিক কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানতে পেরেছে অন্টারিও ইউনিভার্সিটি অ্যাথলেটিক্স। প্রতিবেদন বলছে, অন্টারিও ইউনিভার্সিটি অ্যাথলেটিক্সের শে^তাঙ্গ সদস্যদের প্রধান কোচ অথবা প্রশাসনে উচ্চপদ লাভ করা তুলনামূলক অনেক সহজ। এসব পদাধিকারীদের অধিকাংশকেই আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার ছাড়াই এ পদ দেওয়া হয়েছে অথবা আবেদনে উৎসাহিত করা হয়েছে।
ভিন্ন বর্ণের কর্মীদের অভিজ্ঞতা এর ঠিক উল্টো। প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ভিন্ন বর্ণেল কোচদের সবাই সাবেক খেলোয়াড়, যাদেরকে এক সময় স্বেচ্ছাসেবক, খ-কালীন কর্মী, দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা/প্রশিক্ষণ গ্রহণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
বৈষম্যমূলক চর্চা শিক্ষার্থী অ্যাথলেটদের মধ্যে বৈচিত্র না থাকার জন্যও দায়ী। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি সার্ভে কনসোর্টিয়ামের ২০২১ সালের সমীক্ষার ফল বলছে, ৪৭ শতাংশ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী সংখ্যালঘু অথবা আদিবাসী। অথচ অন্টারিও ইউনিভার্সিটি অ্যাথলেটিক্সের ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাথলেট শে^তাঙ্গ।
প্রতিবেদনে বর্ণবাদবিরোধী প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ও চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া যে পদ্ধতিতে অ্যাথলেট ও কোচ নিয়োগ দেওয়া হয় সেখানেও একটা পরিবর্কন আনার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।