কানাডার সর্বাধিক পঠিত বাংলা সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বাংলামেইল এর ১০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। গত ১ নভেম্বর স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছাবার্তায় জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘সাপ্তাহিক বাংলামেইল এর ১০ বছরের পদার্পণ যারা উদযাপন করছেন তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। সাপ্তাহিক বাংলামেইল ইতিমধ্যেই টরন্টোর বাংলাদেশি-কানাডিয়ান কমিউনিটির নির্ভরযোগ্য প্রকাশনায় পরিণত হয়েছে। এই বার্ষিকী উদযাপন পত্রিকাটির অসংখ্য অর্জনের বহিপ্রকাশ এবং ভবিষ্যত অগ্রযাত্রার পথ নির্দেশ করে’।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ফেলোশিপ বৃদ্ধি ও ইনক্লুসিভ প্রচারের জন্যে প্রশংসা করতে চাই। আমাদের প্রাণবন্ত ও বহুত্ববাদী সমাজে তোমাদের এই অবদানের জন্যে অবশ্যই গর্ব করতে পারো।’
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘এই স্মরণীয় বার্ষিকী ও আগামী বছরগুলোর প্রতিটি সাফল্যের জন্যে আমার আন্তরিক শুভেচছা।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এই শুভেচ্ছাবার্তায় আপ্লুত বাংলামেইল পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলামেইল সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টু ও প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক রেজাউল কবীর।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে সপ্তাহিক বাংলামেইল। নতুনত্ব, চমৎকার গেটআপ, পেশাদার সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বাংলামেইল টীম খুব অল্পসময়েই কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের মন জয় করে নেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ি, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমাজসেবি, এমনকি মূলধারার রাজনীতিকদের আস্থা অর্জন করে বাংলামেইল। কানাডিয়ান কন্টেন্ট নির্ভর পত্রিকাটি কমিউনিটি জার্নালিজমে বিশেষ অবদানের জন্যে টানা দু’বার ন্যাশনাল এথনিক প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিল অব কানাডার এ্যাওয়ার্ড লাভ করে। পাশাপাশি হেরিট্যাজ বিয়ন্ড বর্ডারস এর বেস্ট কমিউনিটি নিউজপেপারের এ্যাওয়ার্ডটিও পায় বাংলামেইল।
সাপ্তাহিক বাংলামেইল এর প্রতিটি বর্ষপূর্তিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা, অন্টারিও প্রিমিয়ার, টরন্টো সিটি মেয়রসহ মূলধারার বিশিষ্টজনেরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলামেইলের প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক রেজাউল কবির বলেন, আমাদের দশবছরের এই যাত্রাটি সহজ ছিলো না। বাংলামেইল এর বিরামহীন সাফল্যের পেছনে রয়েছে বিজ্ঞাপনদাতা ও পাঠকদের অকৃত্রিম ভালোবাসা।
বাংলামেইল সম্পাদক ও প্রকাশক শহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, সময়ের সঙ্গে বদলেছে আমাদের সবার প্রিয় পত্রিকা বাংলামেইল। আমরা নিজস্ব লেখকগোষ্ঠী তৈরি করেছি। ঢাকার পত্রিকার কপি পেস্ট নয়, কানাডিয়ান কনটেন্ট এবং স্থানীয় লেখকদের নিয়েই আমাদের বর্তমান পথচলা। সাফল্যের এই দশ বছরে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।