শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
1.6 C
Toronto

Latest Posts

শিক্ষার্থী ও শিক্ষা কর্মীদের মাস্ক পরার পক্ষে সিংহভাগ কানাডিয়ান

- Advertisement -
ফাইল ছবি

স্কুলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন সিংহভাগ কানাডিয়ান। এ আশঙ্কা থেকে তারা চান স্কুলে শিক্ষর্থী ও শিক্ষা কর্মীরা মাস্ক পরিধান করুন। ইউনিভার্সিটি অব সাস্কেচুয়ানের কানাডিয়ান হাব ফর অ্যাপ্লায়েড অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ পরিচালিত নতুন এক সমীক্ষা এমনটাই বলছে। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কানাডাব্যাপী টেলিফোনের মাধ্যমে এক হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়। শিশুদের স্কুলে পাঠানোর পেছনে তাদের মধ্যে কোনো ধরনের উদ্বেগ কাজ করছে কিনা এবং কি ধরনের জনস্বাস্থ্য বিধি প্রয়োগ করা উচিত সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছে।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮৯ শতাংশই ভ্যাকসিনেটেড বলে জানান। যাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য অর্থাৎ ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সন্তান আছে তাদেরও ৮১ শতাংশ জানান, তাদের সন্তানরা ভ্যাকসিনেটেড। গবেষণা পরিচালক জেসন ডিজানা বলেন, যেসব অভিভাবক নিজেরো ভ্যাকসিনেটেড তাদের সন্তানরাও ভ্যাকসিনেটেড এবং তারা চান স্কুলে শিশু ও শিক্ষা কর্মীরা মাস্ক পরিধান করুক।

- Advertisement -

মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে শিশুরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে থাকায় বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন মা-বাবারা। তবে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা স্কুলে শিশুদের সুরক্ষার ব্যাপারে মোটা দাগে আস্থাশীল। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ এখনও স্কুলে ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন। পোস্ট সেকেন্ডারি স্কুলে সংক্রমণের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৬৯ শতাংশ উত্তরদাতা।

গত মাসে সারা দেশজুড়ে শিশুরা যখন স্কুলে ফিরতে শুরু করে তখন মাস্ক পরিধানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সেভাবে দেখা যায়নি। বরং সমীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী ৭৮ শতাংশ মানুষ স্কুলে মাস্ক পরিধানের ওপর নিজেদের সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে কুইবেক ও প্রেইরি প্রদেশগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে মাস্ক পরিধানের প্রতি সমর্থন অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় খানিকটা কম দেখা গেছে। এছাড়া বড় জমায়েত না করা ও কোভিড-১৯ পজিটিভ হলে আইসোলেশনের যাওয়ার মতো জনস্বাস্থ্য বিধিবিধানও তুলনামূলক কম চান প্রেইরি প্রদেশের বাসিন্দারা। আলবার্টা ও সাস্কেচুয়ানের সরকার জনস্বাস্থ্য বিধিবিধান ব্যাপক হারে শিথিল করেছে বা পুরোপুরি বাতিল করেছে। মাস্ক পরিধান ও আইসোলেশনে যাওয়ার বিধানও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে স্কুল খোলার সময় এগিয়ে আসায় উভয় প্রদেশেই সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। এ অবস্থায় প্রেইরির শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন স্কুল ও কমিউনিটিগুলোতে আরও বিধিবিধান কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.