কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ এলে তা একদমই হাতছাড়া করেননি জেনিফার হুবার্ট। কিন্তু তিন বছরের ছেলে জ্যাকসনকে ভ্যাকসিন দেবেন কিনা সে সিদ্ধান্তটা আর নিতে পারছেন না তিনি।
ভ্যাকসিনের নিরাপদতা ও কার্যকারিতার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই তার মনে। একই সঙ্গে তিনি এও জানেন যে, বয়স্কদের তুলনায় তার সন্তানের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। তাই এর সুবিধাটি তার কাছে ঠিক পরিস্কার নয়।
৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে হেলথ কানাডা ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে। এই খবরে অনেক মা-বাবা খুশি হলেও হুবার্টের মতো অনেকের মধ্যেই এ নিয়ে অতোটা উচ্ছ্বাস নেই। জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, শিশুদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে মা-বাবার সঙ্গে অনুরোধের সুরে কথা বলতে হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের বেলায় যেমনটা বলতে হয়নি।
অ্যাঙ্গাস রিডের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী ৮২ শতাংশ কানাডিয়ান উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেললেও ১১ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নেওয়ার কথা ভাবছেন মাত্র ৫১ শতাংশ মা-বাবা।
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ২৩ শতাংশ মা-বাবা বলেছেন, কখনই তারা তাদের সন্তানদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেবেন না। অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছেন ১৮ শতাংশ। নিশ্চিত নন বলে মন্তব্য করেছেন ৯ শতাংশ। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ হাজার ১১ জন কানাডিয়ানের ওপর জরিপটি চালিয়েছে অ্যাঙ্গাস রিড।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর সেন্টার ফর ভ্যাকসিন-প্রিভেন্টিবল ডিজিজেস বিভাগের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো কেট অ্যালান বলেন, যতগুলো গবেষণা আমি দেখেছি তার অধিকাংশেই মা-বাবাকে নিজেদের চেয়ে সন্তানদ্ েভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি দ্বিধাগ্রস্ত দেখা গেছে। এর পেছনে একাধিক কারণ আছে।