সংখ্যালঘিষ্ট কাউন্সিলের সমর্থন নিয়ে মেয়রকে কিছু বাইল পাসের ক্ষমতা দেওয়ার যে আইন তার বিরোধিতা করতে টরন্টোর বর্তমান জন টরির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক পাঁচ মেয়র। বেটার মিউনিসিপাল গভর্ন্যান্স অ্যাক্ট টরন্টো ও অটোয়ার মেয়রকে প্রাদেশিক স্বার্থের মধ্যে থাকা স্থানীয় কিছু বাইল পাসের ক্ষমতা দিয়েছে। এজন্য মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কাউন্সিলের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। বিল ৩৯ নামে পরিচিত আইনটি ১৬ নভেম্বর কুইন’স পার্কে উত্থাপন করা হয়।
জন টরির কার্যালয়ে ইমেইলে পাঠানো চিঠিতে সাবেক মেয়র আর্ট ইগলেটন, ডেভিড ক্রম্বি, বারবারা হল, ডেভিড মিলার ও জন সিউয়েল বিলটিতে অগণতান্ত্রিক আখ্যায়িত করে সংখ্যাগরিষ্ট নীতি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমাদের স্থানীয় গণতন্ত্রের অন্যতম নীতি সংখ্যাগরিষ্ঠ নীতির ওপর এ ধরনের আঘাত ভয়ের। এই পরিবর্তন আমাদের নগরের ওপর কী ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে তা ভেবে আমরা ভয় পাচ্ছি। পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ফোর্ড সরকার আমাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে তার সত্যিকারের এজেন্ডা কি তা দেখাতে শুরু করেছে। এই পরিবর্তনের বিষয়ে ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা না করায় এটা বিরক্তিকর এবং সত্যিই আতঙ্কজনক। জন টরিকে বিল ৩৯ বলিষ্ঠভাবে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এই পাঁচ মেয়র।
তবে জন টরি এর আগে মেয়রের ক্ষমতা বাড়ানো সমর্থন করেছিলেন। যত দ্রুত সম্ভব অধিক সংখ্যক বাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই পরিবর্তন মূলত।
টরন্টো মেয়র যে শক্তিশালী মেয়র ব্যবস্থার সমর্থক এবং সিটি কাউন্সিলের ব্যাপারে তার নেতৃত্বের ধরন ও ভঙ্গি যে বদলাবে না নির্বাচনের পুরো সময়জুড়েই তিনি তা খোলাসা করে গেছেন। টরন্টোর জনগণের কল্যাণে তিনি তিসি কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে বেশি বাড়ি নির্মাণ সম্ভব হয় সেজন্যই এই পরিবর্তনের বিষয়টি তুলেছেন তারা।
এদিকে বিল ৩৯ এর বিরোধিতা করে এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়েছেন নবনির্বাচিত টরন্টো কাউন্সিলর আসমা মালিক, আলেজান্দ্রা ব্রাভো, জামাল মায়েরস ও দীর্ঘদিনের মিউনিসিপাল প্রতিনিধি জস ম্যাটলো। চার কাউন্সিলরই বলেছেন, অন্টারিওতে সঠিক সময়ে বাড়ি নির্মাণ খুবই জরুরি। কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সঙ্গে আপোষ করে যে বিলটি আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।
জবাবে জন টরি বলেছেন, আবাসন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলেই কেবল তিনি এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।