ইউক্রেনীয় শরনার্থীদের কানাডায় আনতে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কতটা ধীর গতির ও হতাশাজনক ছিল অরিসিয়া বয়চুক তা নিজেই উপলব্ধি করেছিলেন। ইউক্রেনিয়ান কানাডিয়ান কংগ্রেসের আলবার্টা প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বয়চুক বলেন, তার কাজিন ওলিয়া ইউক্রেন থেকে কানাডায় আসার জন্য দুই ছেলে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ভিসা প্রক্রিয়াকরণ থেমে যাওয়ার জোগাড়।
বয়চুক বলেন, ৫ জুলাই তার বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখনও ভিসা পাননি। প্রথমে এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ এবং এখন দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ধীর গতির হয়ে পড়েছে। ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে লোকজন হতাশ হয়ে পড়ছে। এপ্রিল-মে থেকে অনেকে ভিসার জন্য অপেক্ষা করছেন এবং আমরা সেটা জানি। কিন্তু তারপরও এখন পর্যন্ত তারা ভিসা পাননি।
ইউক্রেনীয় শরনার্থীদের কানাডায় আসা দ্রুত করতে ভিসার নিয়ম শিথিল করার দাবি জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশেল পর এ মন্তব্য করলেন বয়চুক। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির স্কুল অব পাবলিক পলিসির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে কানাডা পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে হামলা শুরু করার পর অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডা অনেক কম ইউক্রেনীয় শরনার্থীকে নিয়েছে।
প্রতিবেদনের লেখক রবার্ট ফ্যালকনার বলেন, যত সংখ্যক আবেদন কানাডা সরকার অনুমোদন করছে ইউক্রেনীয়রা আবেদন করছেন তার চেয়ে অনেক বেশি। ঠিক কত সংখ্যক ইউক্রেনীয় কানাডায় আসছে সে সংক্রান্ত পরিস্কার চিত্র আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি না।
পরিসংখ্যান বলছে, ইউক্রেনীয়দের ভিসা ও সাময়িক রেসিডেন্সি অনুমোদনের জন্য কানাডা-ইউক্রেন অথরাইজেশন ফর ইমার্জেন্সি ট্রাভেল প্রোগ্রাম যথেষ্ট নয়। ২২ জুন পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ইউক্রেনীয়র আবেদন প্রক্রিয়াধিন ছিল, এক মাস আগে যেখানে সংখ্যাটি ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার।
ইউক্রেনীয় শরনার্থীদের গ্রহণে কানাডা ও যুক্তরাজ্য একই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করছে এবং সংখ্যাটি তুলনীয়। যুদ্ধের প্রথম দুই মাসে যুক্তরাজ্যের ১৩ গুন ইউক্রেনীয় শরনার্থী আয়ারল্যান্ডে আশ্রয় পেয়েছে।