এক শিক্ষার্থী স্কুলে ছুরি এনে এক এলিমেন্টারি শিক্ষককে হত্যার যে পরিকল্পনার কথা সহপাঠীদের কাছে প্রকাশ করেছে এবং এর ফলে ওই শিক্ষকের মানসিক যে ক্ষতি হয়েছে তাকে কর্মক্ষেত্রে আঘাত বলে রায় দিয়েছে প্রদেশের লেবার ট্রাইব্যুনাল। কে আর নামে পরিচিত ওই শিক্ষক কর্মক্ষেত্রে আঘাতের দাবি জানিয়ে ২০২০ সালে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। আবেদনের তিন মাস আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী তার ক্লাসে উপস্থিতি অব্যাহত রাখে, যা তাকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দেয়।
কুইবেকের লেবার বোর্ডের দেওয়া ২০২০ সালের মে মাসের এক সিদ্ধান্তকে পাল্টে দেয় ট্রাইব্যুনাল। সিদ্ধান্তে নিয়োগদাতার পক্ষ নেয় বোর্ড এবং ওই শিক্ষকের দাবি বাতিল করে দেয়। সেই সঙ্গে তাকে ১ হাজার ৫৯০ ডলারের বেশি পরিশোধের আদেশ দেয়।
জুলাইয়ের শেষ দিকের রায়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জাজ রেনে-ক্লাউড বেলাঙ্গার বলেন, কার্যকর না হলেও হত্যার হুমকি পাওয়া স্বাভাবিক নয়।
বেলাঙ্গারের সিদ্ধান্তে দেখা যায়, এক্স নামে পরিচিত সাত বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থীদের বলছে, শিক্ষককে হত্যার জন্য সে শ্রেণিকক্ষে ছুরি নিয়ে এসেছে। হত্যার এই হুমকির বিষয়টি স্কুলের এক ডেকেয়ার কর্মীকে অবহিত করা হয়। তিনি ওই শিক্ষার্থীর ব্যাকপ্যাকে চারটি বাটার নাইফ পেয়ে সেগেুলো জব্দ করেন।
কিন্তু কে আর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, এই ঘটনা সম্পর্কে তাকে কখনোই কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি তিনি ফিফথ গ্রেডের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানতে পারেন। ওই শিশুটি এই ঘটনা আমাকে জানানোর পর শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি আতঙ্কিত বোধ করতে থাকেন।
বেলেঙ্গার তার রায়ে লেখেন, তিনি যেটা মনে করতে পারেন তা হলো এক্স তার শ্রেণিকক্ষে ছিল এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে কেউ তার কাছে আসেনি। কিংবা তিনি ঠিক আছেন কিনা কেউ জানতে চাননি।