ওয়েস্টন রোড ও শেফার্ড এভিনিউয়ের কাছে বাসিল-দ্য-গ্রেট-কলেজ স্কুলের এবং কার্মিনো স্টেফানো কমিউনিটি সেন্টারের পেছনে বছরের পর বছর ধরে অনেকটা নিভৃতেই রয়েছে ম্যারিয়ান শ্রাইন অব গ্র্যাটিটিউড। কিন্তু প্রার্থনার জন্য পবিত্র এই বাড়িটি যে জমির ওপর নির্মিত সেটি জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, এটা এমনটা স্থান যেখানে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়ে থাকে।
১৫ বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন অ্যাঞ্জেলা কারবোনি। তিনি বলেন, এখানে কেবল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরাই আসেন এমন নয়। প্রশান্তির জন্য অন্যান্য মানুষও আসেন এখানে।
শ্রাইনটি তিনজন ধর্মযাজক দেখভাল করতেন। তাদের সবাই প্রয়াত হয়েছেন। এরপর অর্ডার অব সেন্ট বাসিল দ্য গ্রেট অব সেন্ট জোসাফ্যাটের বাসিলিয়ান ফাদারের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করা হয়। শ্রাইনটিতে আর প্রবেশাধিকার থাকছে না এমনটা জানিয়ে সম্প্রতি নাগরিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এক সময়ের উন্মুক্ত শ্রাইন এখন নিরাপত্তারক্ষীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এখানে ট্রাক আনা হয়েছে এবং পবিত্র কিছু জিনিস সরাতে শ্রমিকরা কাজ করছেন। এ ঘটনায় হতাশ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৯৬ বছর বয়সী এস্টেরিনা কোলাগুরি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমি সবকিছু এখানে করেছি। আমি গাছগুলোর ডালপালা ছেটেছি, ফুলগাছে পানি দিয়েছি এবং এখন সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে।
হাম্বার রিভার-ব্ল্যাক ক্রিকের এমপিপি টম রাকোসেভিচ বলেন, হাজারো মানুষের কাছে এটি সত্যিই বিশেষ কিছু। সুতরাং, লোকজন যাতে এখানে আসা অব্যাহত রাখতে পারেন সেজন্য নিশ্চয় কোনো উপায় আছে বলে আমরা বিশ^াস করি। এটার পুরোটা সংরক্ষিত জমিতে নির্মিত নয় নিশ্চয়। সুতরাং সমস্যাটি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।