শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করা ডজনখানেক সম্মুখসারীর প্রতিষ্ঠান ডাউনটাউন টরন্টোর শেল্টার ইনটেক সেন্টারের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংকট বলে অভিহিত করে এই পরিস্থিতির সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জুন থেকে শরনার্থীদের আর মিউনিসিপাল সেন্টারে ভর্তি নিচ্ছে না। এর পরিবর্তে তাদের দায়িত্ব ফেডারেল সরকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ৩০ জনের মতো শরনার্থী নিয়মিত রিচমন্ড ও পিটার স্ট্রিটের ইনটেক সেন্টারের বাইরে পথের পাশে রাত্রিযাপন করছেন।
কানাডায় আসার পর থেকে রাস্তায় রাত কাটানো এক শরনার্থী বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমাকে এখানে গ্রহণ করা হচ্ছে না। উগান্ডার এই রাজনৈতিক শরনার্থী বলেন, কেউই নিজের ইচ্ছায় নিজ দেশ ছাড়েন না। দুঃখের বিষয় হলো আমি যখন কানাডায় আসি তখন আমাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হয়নি। দুই সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির মধ্যে আমাকে রাস্তায় ঘুমাতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন সজর্ন হাউসের নির্বাহী পরিচালক ডেবি হিল-করিগ্যান। তিনি বলেন, শরনার্থীদের সার্ভিস কানাডার কর্মীদের ফোন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সম্ভবত জানেনইনা কেন তারা ফোন করছে। আমাদের সরকারের বিবেক কোথায় গেলো? এই শহরটা শরনার্থীদের অভয়াশ্রম। নগরীতে তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে এমনটাই ভেবেছিলাম। এই খাতে আমি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। কখনোই শরনার্থীদের দাবার ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করতে দেখিনি। ডিপার্টমেন্ট অব ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টেও আমার করের অর্থ যায়। এটা কি জরুরি পরিস্থিতি নয়?
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অনেকেই এ সময় লজ্জা লজ্জা এবং এখন এখন এখন বলে চিৎকার করতে থাকেন। কেউ কেউ সরকারের নীতিকে বর্ণবাদী হিসেবে দাবি করেন। রাস্তায় ঘুমানো শরনার্থীদের বেশিরভাগই আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসী।