সিরিয়া থেকে কানাডায় প্রত্যাবর্তন ফ্লাইট থেকে সাময়িকভাবে বাদ পড়ে যান সিরিয়ার আটকে পড়া দুই নারী ও তিন শিশু। অবশেষে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে উত্তর সিরিয়ার কুর্দি পরিচালিত ক্যাম্পে বন্দি ১৯ জনের যে দলটিকে কানাডা ফিরিয়ে আনতে রাজি হয়েছিল তারা ছিলেন এর অংশ। কানাডিয়ান নাগরিকরা বছরের পর বছর ধরে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন।
বন্দি ১৪ জন গত এপ্রিলে কানাডায় পৌঁছেছেন। বাকি পাঁচন দেশেল পথে আছেন। তাদের একজন আইনজীবী বলেন, এই নারী ও শিশুদের কুর্দি গার্ডরা আটক করেছিল। তারা তাদেরকে সে সময় উড়োজাহাজে উঠতে বাধা প্রদান করে।
এই ১৯ ব্যক্তির দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে ফেডারেল আদালতে তাদের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন অটোয়ার আইনজীবী লরেন্স গ্রিনস্পন। তিনি বলেন, অবশিষ্ট পাঁচজনের ফিরে আসাটা খুবই ভালো খবর। এখানে কানাডায় তাদের পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আনন্দে ভাসছেন।
কঠিন নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যেও সহযোগিতা করার জন্য ওই অঞ্চলের কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা। সেই সঙ্গে কানাডিয়ানদের প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা করায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা বলেছে, একান্ততা বিবেচনায় নিয়ে ফিরে আসা ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। পরিচালন নিরাপত্তার কারণে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আমরা প্রকাশ করছি না।
এপ্রিলে যারা কানাডায় ফেরেন তাদের মধ্য থেকে চার নারীকের গ্রেপ্তার করে ফেডারেল সরকার। গ্রিনস্পন বলেন, এই দুই নারীর যেকোনো একজনের বা উভয়ের বিরুদ্ধে পিচ বন্ড দাবি করা হলে তা হবে আশ্চর্যের।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, গোপনে কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপকে সহায়তার জন্য কানাডা ছাড়গা গুরুতর অপরাধ। যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদেরকে পূর্ণ মাত্রায় কানাডিয়ান আইন মোকাবিলা করতে হবে।