অধিক সংখ্যায় বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে নগরীগুলোকে তাদের সীমানা সম্প্রসারণের ক্ষমতা দিয়ে বিল পাস করেছে অন্টারিও সরকার। বিল ৯৭ নামে পরিচিতি হোমবায়ারস, প্রোটেক্টিং টেনান্ট অ্যাক্ট কুইন’স পার্কে সোমবার পাস হয়। রয়্যাল সম্মতি পাওয়ার পর এটি কার্যকর হবে।
মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স ও হাউজিং মন্ত্রণালয় বিলটি প্রথম উত্থাপন করে এপ্রিলের গোড়ার দিকে। সে সময় বলা হয়, ব্যাপক পরিবর্তন আনার একটি নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে এটি। এর ফলে প্রাদেশিক সরকার তাদের ১৫ লাখ বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবে। আইনের অংশ হিসেবে দুটি পরিকল্পনা নথি একীভূত হবে। এগুলো হলো প্রভিন্সিয়াল প্ল্যানিং স্টেটমেন্ট এবং আ প্ল্যান টু গ্রো: গ্রোথ প্ল্যান ফর দ্য গ্রেটার গোল্ডেন হর্সশু। এর ফলে ট্রানজিট স্টেশনের কাছে এবং গ্রামীণ অঞ্চলে অধিক সংখ্যায় বাড়ি নির্মাণের সুযোগ মিলবে। বসতি এলাকার সীমানা কখন এবং কোথায় কোথায় সম্প্রসারণ করা হবে সে ব্যাপারেও আরও বেশি নমনীয়তা দেওয়া হবে মিউনিসিপালিটিগুলোকে।
প্রাদেশিক সরকার ২০২২ সালের নভেম্বরে হ্যামিল্টনের আরবান অফিসিয়াল প্ল্যান ও এর রুরাল অফিসিয়াল প্ল্যান পরিমার্জন করে, যাতে করে এর সীমানা ২ হাজার ২০০ হেক্টর সম্প্রসারণ করা যায়। যদিও পরিবেশবাদী আইনী দাতব্য সংস্থা ইকোজাস্টিস একে বেআইনি বলে উল্লেখ করে। পাস হওয়া নতুন আইনের ফলে মিউনিসিপালিটিগুলো নিজেরাই এই কাজ করতে পারবে।
বিল ৯৭ এর আওতায় বাড়ির মালিকদের বাড়ির মেরামত শেষ হওয়ার পর একই ভাড়াই ভাড়াটিয়াদের ফিরতে ৬০ দিনের গ্রেস পিরিয়ড দিতে হবে। বাড়ির মালিক যদি মেরামতের পর একই ভাড়ায় ভাড়াটিয়াকে ফিরতে না দেন তাহলে ভাড়াটিয়ারা বাড়ি ছাড়ার পর দুই বছরের মধ্যে অথবা সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বাড়ির মালিক বা টেন্যান্ট বোর্ডে অভিযোগ করতে পারবেন।
রেসিডেন্সিয়াল টেন্যান্সিস অ্যাক্টের আওতায় আইন ভঙ্গের জরিমানাও দ্বিগুন করা হয়েছে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক লাখ ডলার এবং কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে ৫ লাখ ডলার।