কৃষিজমিতে আবাসনের প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে অন্টারিও। কৃষকরা বলছেন, প্রস্তাবটি নিয়ে এগোলে কৃষিজমি ও গবাদিপশুর ওপর এর বিপর্যয়কর প্রভাব পড়তে পারে।
শহুরে সীমার বাইরে গ্রামীণ এলাকায় বেশি সংখ্যক বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যে মিউনিসিপাল ও আবাসনমন্ত্রী স্টিভ ক্লার্ক একাধিক বিধান প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে একটি বিলও প্রস্তাব করেছেন তিনি। কৃষিজমির তিনটি খ- আবাসনের জন্য ব্যবহারের প্রস্তাবও তিনি করেছিলেন। যদিও প্রস্তাবটি বাতিলের দাবিতে সরকারের কাছে যৌথ চিঠি লিখেছে ডজনখানেক কৃষি সংগঠন। এসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ফারমার্স ইউনিয়ন অন্টারিও, দ্য অন্টারিও ফেডারেশন অব এগ্রিকালচার, দ্য বিফ ফারমার্স অব অন্টারিও এবং ডেইরি ফারর্মাস অব অন্টারিও। তাদের দাবি, এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে গবাদিপশু উৎপাদনের যে প্রবৃদ্ধি তা কমে যাবে, কৃষিজমি খ- খণল্ড হয়ে যাবে।
প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড গত সপ্তাহে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং প্রস্তাবটি নিয়ে না এগোনোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওএফএর কাছে লেখা এক চিঠিতে এটা নিশ্চিত করেছেন স্টিভ ক্লার্ক। তিনি বলেন, প্রথমে প্রস্তাবটিকে কৃষিজীবী পরিবারগুলোর জন্য সহায়ক হিসেবে মনে করা হয়েছিল।
ওএফএ বলেছে, কৃষকদের উদ্বেগ সরকার শোনায় তারা সন্তুষ্ট। যদিও বিলে অন্যান্য সমস্যাও রয়েছে, যা কৃষিজমির আরও ক্ষতি করতে পারে। এমন সময় এটা ঘটতে যাচ্ছে যখন প্রদেশ প্রতিদিন গড়ে ৩১৯ একর কৃষিজমি হারাচ্ছে।
মিনিস্ট্রিয়াল জোনিং আদেশ নিয়ে আমাদের মধ্যে আরও কিছু উদ্বেগ রয়েছে। উদ্বেগ আছে বিল ৯৭ এর কিছু বিষয় পরিবর্তন নিয়েও।
এনডিপির এগ্রিকালচার ক্রিটিক জন ব্যান্থফ নিজেও একজন কৃষক এবং বিষয়টি তিনি আইনসভায় উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বিদ্যমান ফার্মস্টিডে একাধিক আবাসন গড়ে তোলার বিরোধিতা তারা করছেন না। কিন্তু এগুলো যখন নতুন লটে পরিণত হওয়া শুরু হবে তখন নানা সমস্যা সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে গবাদিপশু শিল্পের ক্ষেত্রে।
This article was written by Helal Chowdhury as part of the LJI