গত বছর প্রথমবারের মতো গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার কন্ডোমিনিয়ামে বিনিয়োগকারীদের অর্ধেকই তাদের ভাড়া বাড়ি বাবদ লোকসান করেছেন। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের লেখকরা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান ইম্পেরিয়োল ব্যাংক অব কমার্স এবং আবাসন খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরবানেশন দেখিয়েছে, ভাড়া দেওয়ার জন্য নির্মাণের আগেই কন্ডোতে যেসব বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছিলেন তাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশের ক্যাশ ফ্লো ২০২২ সালে ধনাত্মক ছিল। অর্থাৎ, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিনিয়োগকারীরা নতুন নির্মিত ইউনিট থেকে যে ভাড়া পেয়েছেন তা মর্টগেজ ব্যয়, কন্ডো ফি ও সম্পদ করের চেয়ে কম।
সিআইবিসির বেঞ্জামিন ট্যাল এবং আরবানেশনের শন হিল্ডেব্র্যান্ড সোমবার প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বিনিয়োগকারীদের আচরণে যে পরিবর্তন আসছে এটা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। সামনের দিকে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো আরও খারাপের দিকে যাবে বলে তাদের কাছে মনে হচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছর ধরে নির্মাণের আগেই দামী অনেক কন্ডো বিক্রি হয়েছে। তবে সুদের হার হ্রাস পাওয়ার পাাশাপাশি ভাড়া আরও বাড়লে সামনের বছরগুলোতে বিনিয়োগকারীদের ওপর এর প্রভাব কিছুটা কমবে। তবে তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়া থেকে এটা তাদের খুব বেশি কাজে আসবে না। যদিও এর বেশিরভাগই নির্ভর করছে মূল্য ও ঋণ পরিবেশের ওপর। বিনিয়োগকারীরা যদি ঋণ পান এবং মূল্য বাড়ে তাহলে ঋণাত্মক ক্যাশ ফ্লো সত্ত্বেও ভাড়া বাজারে তারা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে উৎসাহিত হবেন।
তবে তাদের বিশ্বাস বিনিয়োগকারীরা তাদের বাড়ি বিক্রি বিলম্বিত করবে। কারণ, আবাসন সরবরাহ এখনো অপ্রতুল এবং খুব বেশি উন্নতির অবস্থায় নেই। ডেভেলপারদের প্রতি বছর ২০ হাজার ইউনিটের বেশি বাড়ি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে, যা জিটিএতে কন্ডো সরবরাহের ক্ষেত্রে সামান্য প্রবৃদ্ধির নির্দেশক। জিটিএ ৫ লাখ ইউনিটের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।
ট্যাল ও হিল্ডেব্র্যান্ড বলেন, কোনো বিনিয়োগকারী তার বাড়ি বিক্রি করতে চাইলে আবাসন বাজারে তাকে স্বাগত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে কানাডাজুড়ে ভাড়া বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গড়ে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এপ্রিলে এক
শয়নকক্ষের মাসিক ভাড়া সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৭৮৭ ডলার ছিল ভ্যানকুভারে। সবচেয়ে কম ছিল রেজিনায় ১ হাজার ৯১ ডলার। মাসটিতে বাড়ির জাতীয় গড় ছিল ১ হাজার ৮১১ ডলার।