
৩৩৬টি নতুন হাইব্রিড-ইলেক্ট্রিক বাসের প্রথম ব্যাচের সরবরাহ এ মাসেই পেতে পাচ্ছে টরন্টো ট্রানজিট কমিশন (টিটিসি)। বাকি বাসগুলো আসবে মে মাসের শুরুর দিকে। এর ফলে বহরের বিদ্যমান সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য বাড়বে বলে জানিয়েছে কমিশন।
যেসব বাস তাদের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কালের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে নতুন বাসগুলোর মাধ্যমে সেগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া ৪০ ফুটের যেসব বাস রয়েছে সেগুলোর স্থলে চলবে ৬০ ফুটের বাস। এর ফলে সক্ষমতাই কেবল বাড়বে না, ভ্রমণ সময়ও কমে আসবে বলে জানিয়েছে টিটিসি।
টিটিসির যে গ্রিন বাস টেকনোলজি প্ল্যান তা বাস্তবায়নের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ হচ্ছে এটি, যার উদ্দেশ্য ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বনমুক্ত বহর নিশ্চিত করা।
বুধবার টিটিসি থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাককেলভি বলেন, আমাদের নগরীতে ভ্রমণে বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের একটি পরিচ্ছন্ন, শান্ত ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প দেবে এসব হাইব্রিড-ইলেক্ট্রিক বাস। সিটি অব টরন্টোর সামগ্রীক কার্বন ফুটপ্রিন্ট কবমিয়ে আনার যে অব্যাহত প্রচেষ্টা তারই প্রতিফলন হচ্ছে নতুন এসব বাস। ২০৪০ সালের মধ্যেই কার্বন নিঃসরণমুক্ত একটি টেকসই শহরের লক্ষ্যে পৌঁঁছাতে চাই আমরা।
কমিশন বলছে, নতুন এসব হাইব্রিড ইলেক্ট্রিক বাস অনেকটা পুরোপুরি ইলেক্ট্রিক বাসের (ইবাস) মতোই। ইলেক্ট্রিক মটরচালিত এসব বাসের রয়েছে ব্যাটারি ব্যবস্থা। যদিও সেগুলো এখনো গ্যাসভিত্তিক এবং প্রয়োজনের সময় এগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। পুরোনো ডিজেলচালিত বাসের তুলনায় এসব বাসের পরিবেশগত সুবিধা অনেক বেশি। তবে খরচ অনেক কম।
এর ফলে ডিজেল বাবদ খরচ কমবে বার্ষিক ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ডলার। ১৩ বছরের আয়ুষ্কাল ধরে রক্ষণশীলভাবে হিসাব করলেও এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি ডলারের ওপরে।
টিটিসি যে ৩৩৬টি বাস পেতে যাচ্ছে তার মধ্যে ২৬৮টির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট। বাকি ৬৮টি ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে। প্রয়োজনীয় পরির্শন ও পরীক্ষাশেষে পর্যায়ক্রমে এগুলো কার্যক্রমে আসবে। আগামী বছরের শুরুর দিকে এগুলো পুরোপুরি বহরে সচল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।