
অন্টারিওর রোগীরা গত বছর হাজারো অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাতে যোগাযোগ, সংবেদনশীলতা এবং রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কেয়ারগিভারদের সম্মান না দেখানোর মতো বিষয়গুলো সামনে এসেছে। প্রদেশের রোগী ন্যায়পালের নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোগী ন্যায়পালের কার্যালয় ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৩ হাজার ৩০৬টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগের ৬০ শতাংশের বেশি সরকারি হাসপাতাল সংক্রান্ত। বাকি ১০ শতাংশ অভিযোগ অন্টারিওর লং-টার্ম কেয়ার হোমের সেবা সংশ্লিষ্ট। এছাড়া কিছু অভিযোগ আছে যেগুলো বাড়িতে ও কমিউনিটি কেয়ার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠাকে নিয়ে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ১০ শতাংশ রোগী বা কেয়ারগিভার রোগী ছেড়ে দেওয়া বা স্থানান্তরের অসময়োপযোগী, অনিরাপদ ও দুর্বল পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিদর্শনে কড়াকড়ি ও অপেক্ষমাণ সময় নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে।
ন্যায়পাল ক্রেইগ থম্পসন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিদ্যমান এই নাজুকতা সৃষ্টি করেছে। গত বছর যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে তাতে একটা বিষয় উঠে এসেছে এবং তা হলো রোগী ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী উভয়েই কী ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছেন সেটি। সংবেদনশীলতা, সেবা প্রদান, অদ্রতা ও সম্মান নিয়ে আমরা অনেক বেশি অভিযোগ পাচ্ছি।
অন্টারিওর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা যে ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে খুব শিগগিরই তা থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সংবেদনশীলতা ও অসম্মান নিয়ে রোগী ও কেয়ারগিভাররা যে অভিযোগ করেছেন তার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি। এসব অভিযোগ মূলত জরুরি কক্ষ নিয়ে। অপেক্ষমাণ সময় নিয়ে বিরক্তি প্রকাশের পাশাপাশি দুর্বল যোগাযোগ নিয়েও অভিযোগ করেছেন রোগী ও কেয়ারগিভাররা।
সবচেয়ে গুরুতর যে অভিযোগটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো, বয়স্ক এক ব্যক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বজনের সান্নিধ্য ছাড়াই মারা যান।
অভিযোগগুলোর মধ্যে ১১ শতাংশ ছিল হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত। একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হওয়া ৯০ বছর বয়সী এক রোগীকে হাসপাতাল থেকে দেওয়ার চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, এই সময়ে তিনি হাসপাতাল না ছাড়লে তাকে দৈনিক ফি পরিশোধ করতে হবে।