
গত বছর ঋণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় টরন্টোতে বাড়ির দাম লক্ষণীয় হারে কমেছে। তবে অন্টারিওর অন্যান্য নগরীতে বাড়ির দাম আরও বেশি কমবে বলে জানিয়েছে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডেসিয়ারডিন্স। প্রতিবেদনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানিটির অর্থনীতিবিদরা সুদের হার বৃদ্ধি ও সরবরাহের নিরিখে অন্টারিওর আবাসন বাজার পরীক্ষা করে দেখেছেন।
এতে দেখা গেছে, কানাডার অন্যান্য প্রদেশের চেয়ে অন্টারিওতে বাড়ির মূল্য বেশি সংশোধন হতে পারে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অন্টারিওতে বাড়ির দাম সর্বোচ্চ মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট বাড়ির অর্ধেকই বিক্রি হচ্ছে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে (জিটিএ)। সেই হিসাবে এই বাজার আরও মনোযোগ দাবি করতে পারে। কিন্তু মহামারির সময় গণমাধ্যমের বেশি শিরোনাম হয়েছিল অন্যান্য কমিউনিটি। জিটিএতে সে সময় বাড়ির দাম উল্লেখযোগ্য বাড়লেও অন্টারিওর ছোট কমিউনিটি বা জাতীয়ভাবে যে পরিমাণ বেড়েছি ততটা নয়। এই অঞ্চলগুলোতে বাড়ির মূল্য হ্রাস অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৯ সাল থেকে উইন্ডসর, ওশোয়া, সাডবারি ও লন্ডনে বাড়ির দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। অল্প সময়ের জন্য বাড়ির দাম ৭৫ থেকে ১০০ মতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কমে আসাটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
ব্যানক্রফটে এ বছরের শেষ নাগাদ বাড়ির দাম সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর সবচেয়ে বেশি ৪২ শতাংশ হ্রাস পাবে নর্থামবারল্যান্ড হিলসে। এছাড়া উডস্টক-ইঙ্গারসোলে ৪০, গ্রে ব্রুস ওয়েন সাউন্ডে ৩৯ এবং মাসকোকা অ্যান্ড হ্যালিবার্টনে বাড়ির দাম ৩৯ শতাংশ কমতে পারে। এ বছরের শেষ নাগাদ যেসব অঞ্চলে বাড়ির দাম ৩০ থেকে ৩৮ শতমাংশ কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে আছে ডারহাম, লন্ডন, উইন্ডসর, গুয়েল্ফ, পিটারবোরো, ব্যারি, ওরিলা, কিচেনার এবং নায়াগ্রা ফলস।
তবে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাড়ির দাম কমলেও অতটা তীব্র হবে না। জিটিএতে এ বছরের শেষ নাগাদ বাড়ির দাম সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ২০ শতাংশের মতো হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া মিসিসোগায় কমতে পারে ২৩, ইয়র্ক রিজিয়নে ১৯, অটোয়াতে ২০, টিমিন্সে ২০ এবং থান্ডার বেতে ২৫ শতাংশ।
বাড়ির মূল্য হ্রাস ভালো সংবাদ মনে হলেও ব্যয়বহুল ঋণের কারণে তার সুফল নাও পাওয়া যেতে পারে। প্রতিবদনে বলা হয়েছে, আগামী দুই-তিন বছরে ক্রয়ক্ষমতার খুব বেশি উন্নতি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।