
গত হেমন্তে যখন রেসপিরেটরি ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল তখন মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হলেও সরকারি হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কমানোর জন্য তা যথেষ্ট হতো না। পাবলিক হেলথ অন্টারিওর এক সায়েন্স ব্রিফে এমনটাই বলা হয়েছে।
অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মাস্ক পরিধানের চেয়েও বেশি কিছু সুপারিশ করেছিলেন।
গবেষণার তথ্য বলছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরিধানের কার্যকারিতা ছিল ব্যাপক। কিন্তু সুপারিশের পরিবর্তে বাধ্যবাধকতা আরোপ করলে ততটা কার্যকর হয় না। কিন্তু আরএসভির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের সুফল সামান্যই।
পাবলিক হেলথ অন্টারিওর নথিতে বলা হয়েছে, বর্তমান উপাত্ত বলছে, মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পদক্ষেপ যেমন অসুস্থ্য হলে বাড়িতে অবস্থান ও ভ্যাকসিন নিলেইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএসভি ও শিশুদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে ইনডোর কমিউনিটি সেটিংসে, যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। বর্তমানে রেসপিরেটরি ভাইরাসের যে সংক্রমণ তাতে এটা ব্যাপকভাবে সংক্রমণের সম্ভাবনা সেভাবে নেই।
এছাড়া সম্ভাব্য সংক্রমণ হ্রাস শিশু হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ, হাসপাতাল ও আইসিইউর ধারণক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে পারবে কিনা সেটাও নিশ্চিত নয়।
ডা. কিয়েরান মুর দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার মতো কোনো প্রমাণ সেখানে ছিল না। কোনো অঞ্চলেই বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের সুপারিশ করেনি। এমনকি আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলও এ ধরনের সুপারিশ করেনি। বর্তমানে বা আগামীতে মাস্ক পরিধানের বাধ্যবাধকতা ফিরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মুর এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না।