
কুইবেকের কার্ডিনাল মার্কের বিরুদ্ধে আনা যৌন অসদাচরণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। ২০২০ সালে এক নারী তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন।
রোমান ক্যাথলিক আর্কডিওসেস অব কুইবেক সিটি শুক্রবার নিশ্চিত করেন যে, প্রাদেশিক রাজধানীর সাবেক আর্চবিশপ কুইলেটের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের দ্বিতীয় অভিযোগটি পেয়েছে তারা।
কুইলেটের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগের তদন্ত ভ্যাটিকান থেকে করা হয়েছে। কিন্তু পোপ ফ্রান্সিস কার্ডিনালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধরে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কার্ডিনাল এখন ভ্যাটিকানের বিশপ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে তদন্তে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুইলেট। সেই সঙ্গে বলেছেন, তার লুকানোর কিছু নেই। পুরো প্রক্রিয়ায় তিনি পুরোপুরি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছেন।
কোনো নারীর প্রতি কোনো ধরনের অসদাচরণের কথা অস্বীকার করেছেন কুইলেট। তিনি বলেছেন, তার বিরিুদ্ধে সিভিল বা ফৌজদারি আদালতে কোনো অভিযোগও দায়ের করা হয়নি।
আর্কডিওসেস অব কুইবেকের বিরুদ্ধে ক্লাস অ্যাকশন মামলায় কার্ডিনালের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম সামনে আসে গত গ্রীষ্মে। গত সপ্তাহে একজন অভিযোগকারী তার পরিচয় প্রকাশ করেন এবং অভিযোগ করেন, ভয়-ভীতি দেখিয়ে ক্যাথলিক চার্চ তার মুখ বন্ধ রাখতে চাইছে।
মামলার ৪০ অভিযোগকারীর মধ্যে একজন পামেলা গ্রোলু। তিনি বলেন, পরিবার, চাকরি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে প্রথমে তিনি তার পরিচয় গোপন রেখেছিলেন।
মামলায় গ্রোলু কুইলেটের বিরুদ্ধে ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে একাধিক যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। তখন তার বয়স ছিল ২৩ বছর। এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি এবং কুইলেট গত মাসে গ্রোলুর বিরুদ্ধে কুইবেক সুপিরিয়র কোর্টে মানহানীর পাল্টা মামলা করেন। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে ১ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
দ্বিতীয় অভিযোগ নিয়ে গত সপ্তাহে ফ্রেঞ্চ ক্যাথলিক সাপ্তাহিক গোলিয়াস হেবদোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি অভিযোগকারী নারীর নামসহ একটি চিঠিও প্রকাশ করে, যেটি ২০২১ সালের ২৩ জুন লেখা।