চীনের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কানাডার জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা। তবে চীনা নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে কেউ আসলে তাদের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে।
পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা এক বিবৃতিতে বলেছে, নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনা হলে ট্রাভেল হেলথ নোটিশে তা উল্লেখ থাকবে। চীনসহ সব দেশের জন্য এরই মধ্যে ‘লেভেল টু’ নোটিশ কার্যক্রর আছে, যার অর্থ হলো ভ্রমণকারীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক পূর্ব সতর্কতা জোরদার করা। এর মধ্যে আছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার, ভ্রমণ বিলম্ব করা এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকা- এড়িয়ে চলা।
চীনের নববর্ষ উপলক্ষে অতিরিক্ত নোটিশ ২৩ ডিসেম্বর পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, জানুয়ারির শেষ দিকের এ উৎসবে বড় লোক সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে কোভিড-১৯সহ অন্যান্য রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, চীন সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে, যার ফলে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, চীনের জেনোম সিকোয়েন্সিং ডাটা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব কি হতে পারে সেদিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী কিছু দেশের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ হিসেবে তারা জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর চীনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে।
এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণেচ্ছু চীনা নাগরিকদের কোভিডমুক্ত সনদ দেখাতে হবে। পরীক্ষাটি করতে হবে ভ্রমণের দুইদিন আগে।