অন্টারিওর একটি হাসপাতালে জরুরি কক্ষে একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিকের ওয়ালেট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন আরেকজন রোগী। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি চুরি থামাতে পেরেছেন।
টরন্টোর বাসিন্দা আভি লেভিংটন বলেন, এলিজাবেথ স্ট্রিটের টরন্টো জেনারেল হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার ৬৮ বছর বয়সী অসুস্থ্য মাকে নিয়ে যান। কারণ, তার কোমরে তীব্র ব্যথা হচ্ছিল। ফোন করার জন্য বাইরে আসার আগ পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা তারা সেখানে অপেক্ষা করেন। আমার মনে হচ্ছিল, তিনি নিউ ইয়র্ক সাবওয়েতে নন। টরন্টোর একটি বড় হাসপাতালের অপেক্ষা কক্ষে তাকে বসিয়ে রেখে এসেছি। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে অপরিচিত এক ব্যক্তি তার মায়ের দিকে এগিয়ে যান এবং তার ওয়ালেটটি চুরি করেন।
লেভিংটন বলেন, আমার মা অপেক্ষা কক্ষে একা ছিলেন এবং একজন নারী এসে তার কোলের ওপর রাখা পাস থেকে ওয়ালেটটি ছিনিয়ে নেন। সাহায্যের জন্য তার আশপাশে থাকা লোকজন চিৎকরা করতে থাকেন। অসুস্থ্যতা সত্ত্বেও মা তার দিকে এগিয়ে যান। ওই নারী এক কোনায় গিয়ে ওয়ালেটটি খালি করতে থাকেন। ট্রান্সপ্ল্যান্টের রোগী হওয়ার পরও মা তার ওয়ালেটটি কেড়ে নিতে সক্ষম হন।
লেভিংটনের ভাষ্যমতে, হাসাপাতালের কর্মীরা কোনো উদ্যোগ নেননি। বরং অন্য রোগীরা তার মাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে দিতে সাহায্য করেন। ওই ঘটনার এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী দেখা যায়নি। এটা খুবই বাজে।
লেভিংটন বলেন, সেখানে একজন নিরাপত্তা প্রহরী থাকবে, এমনটা ভাবাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা ছিল না। কাচঘেরা দেওয়ালের পেছনে কেউ একজন বসে ছিলেন। মাইক্রোফোনের মাধ্যমে কথা বললেই কেবল সেখানে পৌঁছানো সম্ভব। এ ঘটনার প্রায় ৫ মিনিট পর একজন নিরাপত্তা প্রহরী এসে ওই নারীকে পাকড়াও করেন।
টরন্টো জেনারেল হাসপাতালের দেখাশোনার দায়িত্বে আছে ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক। এর মুখপাত্র জিলিয়ান হাওয়ার্ড বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং এ ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। জরুরি বিভাগ সেখানে নিরাপত্তা কর্মী রেখেছে। এ ধরনের ঘটনার শিকার রোগীর জন্য এটা খুবই ভয়ের এবং সেবা নিতে এসে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ায় আমরা খুবই অনুতপ্ত।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লেভিংটনের মা বাড়িতেই চিকৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠছিলেন।