
তদন্তকালে নজিরবিহীন জরুরি আইন ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ফেডারেল সরকার কিছু তথ্য গোপন করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেকেই।
জাস্টিন ট্রুডোর সরকার ১৪ ফেব্রুয়ারি জরুরি আইন চালু করে। লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ডেট্রয়েট-উইন্ডসর অ্যাম্বাস্যাডর ব্রিজ অবরোধের এক সপ্তাহ পর সরকার আইনটি কার্যকর করে। ট্রুডো এই অবরোধকে বেআইনী বলে মন্তব্য করেন। ১৯৮৮ সালে আইনটি পাশের পর এই প্রথম সরকার এটি ফিরিয়ে আনলো। সাময়িকভাবে আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষকে গ্রেপ্তার, জরিমানা, যানবাহন সরিয়ে দেওয়া ও সম্পদ জব্দ করার বিপুল ক্ষমতা দেওয়া হয়।
সরকারের বাড়তি ক্ষমতা ব্যবহারের ইচ্ছার বিষয়ে হাউজ অব কমন্সে একটি প্রস্তাবের সঙ্গে এনডিপি যোগ দেওয়ার দুইদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি জরুরি অবস্থা ফিরিয়ে আনেন জাস্টিন ট্রুডো। জরুরি আইনের অধীনে তদন্ত ও সংসদীয় বিশেষ কমিটির সরকারের সিদ্ধান্ত যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
এমপি ও যৌথ কমিটির সেনেটররা লিবারেল মন্ত্রী, সিএসআইএসের পরিচালক ও অন্যদের সাক্ষ্য নেওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামেট্টি গত এপ্রিলে কমিটির সদস্যদের সামনে বারবার এটা বলার চেষ্টা করেন যে, মন্ত্রিসভার গোপনীয়তার সঙ্গে তিনি বিশ^াসঘাতকতা করবেন না।
উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড গত জুনে যখন কমিটির সামনে উপস্থিত হন সেটিও তার কাছে বিরূপ ছিল বলে তার দাবি। কিছু সদস্যকে তার বিরুদ্ধে প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার, এড়িয়ে যাওয়ার এবং নতুন কোনো তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ আনেন।