প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়িতে কিছুটা একটা ফেলছে বলে বিশ্বাস করেন যে জ্যেষ্ঠ নারী, তাঁর দিকে নজর রাখছিলেন কনস্টেবল স্কট উডস ও মানসিক স্বাস্থ্য কর্মী সারাহ বার্টেনশ। এই প্রথম যে তিনি ৯১১-এ ফোন করলেন, ব্যাপারটা তেমনও না।
উডস এবং বার্টেনশ দুজনেই হ্যামিল্টনের ভ্রাম্যমাণ ক্রাইসিস র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্য। কর্মসূচিটিতে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা-সংক্রান্ত ৯১১ কলের উত্তর দিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে একজন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকেও রাখা হয়েছে। আট বছর আগে হ্যামিল্টনে কর্মসূচিটি শুরু হওয়ার পর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা লোকেদের পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার ঘটনা ব্যাপক কমেছে।
ভ্রাম্যমাণ দলের আগে সাহায্য চেয়ে ফোন করা প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনকেই আটক করত হ্যামিল্টন পুলিশ। তবে সাম্প্রতিক উপাত্ত বলছে, আটকের হার ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সাহায্য চেয়ে ফোন করা প্রতি পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বার্টেনশ বলেন, পুরো চিত্রটা আপনারা দেখতে পাবেন। এটা এতোটাই ভয়ঙ্কর যে, কেউ হয়তো সেতুর ওপর উঠে নদীতে ঝাপ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। কেউ হয়তো বলছেন, আমার মাকে নিয়ে সত্যিই আমি উদ্বিগ্ন। তিনি দরজা খুলছেন না। আপনারা কী তাঁর মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন?
জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা ফোন করে সাহায্য চাইলে বার্টেনশ তাদের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলেন। প্রতিদিনের ওষুধ নিয়মমতো সেবন নিশ্চিত করতে ওষুধের প্যাকটির দিকে একটু চোখ দিতে বলেন।
উডস ওই নারীর লিভিং রুম অ্যাপার্টমেন্টটি ভালো করে দেখে নিচ্ছিলেন। এবং কয়েক বছর আগেও যে তিনি এখানে এসেছিলেন সেটাও মনে পড়ল। সেবার তাঁর টেলিভিশনটি ঠিক করতে সহায়তা করেছিলেন উডস। সেই কথা মনে করে ওই নারীর দিকে তাকিয়ে হাসলেন তিনি।
ওই নারী নিরাপদ এবং কোনো হুমকি নেই, এই নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা ওই অ্যাপার্টমেন্ট ত্যাগ করেন।
এটা অতটা গুরুতর কল নয়। কিন্তু এতেই উঠে এসেছে, তারা কোন পদ্ধতিতে কাজ করছেন। ২০১৩ সালে যখন কর্মসূচিটি চালু হয়, তখন অন্টারিওতে এটাই ছিল এ ধরনের প্রথম কর্মসূচি। গত পাঁচ বছরে কর্মসূচিটি আরও তিনটি ইউনিটে সম্প্রসারিত হয়েছে।