
অন্টারিওতে কোভিড-১৯ মহামারির সপ্তম ঢেউ চূড়ায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সূচকগুলো চূড়ায় পৌঁছেছে বা নিচের দিকে নামছে। আমার মনে হয়, এরইমধ্যে আমরা চূড়া থেকে নামতে শুরু করেছি।
তিনি বলেন, পেছনের তাকিয়ে বর্তমানে আমরা কোথায় আছি সেটা বলা সহজ। আমরা হাসপাতালে সামগ্রিক রোগী ভর্তি কমতে দেখছি এবং আইসিইউতে রোগী ভর্তিও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ৩০ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের হার প্রদেশের ৩৪টি স্বাস্থ্য ইউনিটের মধ্যে ২২টিতেই আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি আগের সপ্তাহের ৪৬৩ জন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩০৬ জনে। ৩০ জুলাই সমাপ্ত সপ্তাহে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৬ জন। আগের সপ্তাহে সংখ্যাটি ছিল ৭৫।
আগস্ট জুড়েই স্বাস্থ্য খাতে কোভিড-১৯ এর সামগ্রিক ঝুঁকি ও প্রভাব কম থাকবে বলে মনে করেন ডা. মুর। আসছে হেমন্তে কোভিড-১৯ এর নতুন ঢেউ অতোটা খারাপ হবে না, কয়েক মাস আগে যেমনটা মনে করেছিলেন তিনি। যদিও শীতকালে ইনডোরে কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডা. মুর বলেন, অন্টারিওর অনেকেই এরইমধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। সেরোপ্রিভ্যালেন্স গবেষণা অনুযায়ী, প্রদেশের অর্ধেক মানুষের দেহে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে ভ্যাকসিনেশনের উচ্চ হার এবং উদ্বেগজনক নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট এখনও না আসায় পরিস্থিতি ভালোই বলতে হবে। একই ধরনের কোনো ভাইরাসের পক্ষে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ঘটানো কঠিন হবে।
অন্টারিওর ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী সবাই এখন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ নিতে পারছেন। আগে এটা কেবল ৬০ বছরের বেশি বয়সীরাই নিতে পারতেন। সেই সঙ্গে ইমিউনোকম্প্রমাইজড অথবা প্রাপ্ত বয়স্ক আদিবাসীরাও চতুর্থ ডোজ নেওয়ার সুযোগ পেতেন। এখন পর্যন্ত অন্টারিওর মাত্র ১৬ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন। তবে ৮০ বছর ও তার বেশি বয়সী প্রায় ৬১ শতাংশ মানুষ চতুর্থ ডোজ পেয়েছেন।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকেও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। এ বয়সী ৯ হাজার শিশু প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে, অন্টারিওতে এই বয়সী মোট জনসংখ্যার যা ১ শতাংশের মতো।
ডা. মুর বলেন, ছুটি নিয়ে বাবা-মায়েরা ব্যস্ত থাকায় আগস্টে এ হার কম থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে হেমন্তে এ হার বাড়বে বলে আশা করা যায়।