২০২৩ সালে কানাডা মন্দার দিকে যাবে বলে আরবিসির নতুন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মন্দা হবে ক্ষণস্থায়ী এবং আগের মন্দার মতো অতোটা তীব্র হবে না।
আরবিসির অর্থনীতিবিদ নাথান ইয়ানজেন বলেন, খাদ্য ও জ¦ালানির উচ্চ মূল্য, সুুদের হার বৃদ্ধি এবং চলমান শ্রমিক সংকট আগামী বছর অর্থনীতিতে মাঝারি মাত্রার সংকোচন ঘটাবে। এই বছরের শেষ নাগাদ আমরা প্রবৃদ্ধিতে শ্লথতা দেখতে পাবো। এরপর ইতিবাচক ধারায় থাকবে অর্থনীতি। কিন্তু ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে হ্রাস পাবে।
আরবিসি বলছে, ২০২৩ সালে বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তবে এটা ২০২৪ বা তার পরের বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে মনে হয় না।
মে মাসে কানাডায় বেকারত্বের হার ইতিহাসের সর্বনি¤েœ অর্থাৎ ৫ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। ইয়ানজেন বলেন, স্বল্প মেয়াদে শ্রম বাজার শক্তিশালী থাকবে।এ কারণেই আগামী বচরের আগে মন্দার প্রত্যাশা আমরা করছি না। যদিও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়া শুরু করবে তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকবে। অন্যদিকে মজুরি বৃদ্ধি বছরের বাকি সময়েও অব্যাহত থাকবে। কারণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শূন্যপদ পূরণ ও মেধাবীদের ধরে রাখার ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আরোপিত লকডাউনের পরিবারের যে ব্যয় বেড়েছিল উচ্চ মূল্য, সুদের হার বৃদ্ধি ও বেকারত্বের কারণে তা শ্লথ হয়ে আসবে।
ইয়ানজেন বলেন, সেপ্টেম্বরের মতোই সুদের হার বাড়াতে পারে ব্যাংক অব কানাডা। শেষ পর্যন্ত এ বছরের শেষ নাগাদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি নির্ধারণী সুদের হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জুনে সুদের হার ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করে। আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতিতে লাগাম দিতেই এ উদ্যোগ। কিন্তু কানাডিয়ান ভোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শিগগিরই মূল্যস্ফীতি থেকে মুক্তি আশা করছে না। সোমবার প্রকাশিক ব্যাংক অব কানাডার দুটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।