কোভিড-১৯ সংকট স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ানোর কারণে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর কথা ভাবছে আলবার্টা। আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি বুধবার এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে এদিন স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেন তিনি। এর ফলে জমায়েতের ওপর নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আইসিইউ শয্যাগুলো রোগীতে ভরে যাবে এবং কর্মী সংকটও দেখা দেবে।
জেসন কেনি বলেন, ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের দ্বারা হাসপাতালগুলো ভরে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে এ পথে হাঁটা ছাড়া উপায় নেই।
বেশ কয়েকটি প্রদেশ ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করতে যাচ্ছে। এর আওতায় পাব, রেস্তোরাঁর মতো অনাবশ্যক সেবা নিতে ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রয়োজন পড়বে। স্বাস্থ্যগত গোপনীয়তার কারণে জেসন কেনি এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধী ছিলেন। যদিও সমালোচকদের দাবি, ইউনাইটেড কনজার্ভেটিভ ককাসের বিধিনিষেধ বিরোধী অংশের বিদ্রোহের ভয়ে জেসন কেনি এটা বলে আসছিলেন।
আলবার্টা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ দুই মাস আগে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে হু হু করে বাড়ছে এবং আইসিইউ শয্যা স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা অতিক্রম করে গেছে। এর ফলে অ-জরুরি অস্ত্রোপচার বাতিল করতে হচ্ছে।
বিধিনিষেধ প্রত্যাহার যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল জেসন কেনি সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে আটকানো যায় এমন মৃত্যু এড়ানো। যে বাস্তবতা আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাকে মানতেই হবে। আমরা এটা এড়িয়ে যেতে পারি না।
আলবার্টায় বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছে ১৮ হাজার। বুধবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৭ জন। এর মধ্যে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে যেতে হয়েছে ২১৮ জনকে।