কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মোটামুট একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। রয়টার্সের নেক্সট কনফারেন্সে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি কানাডিয়ানদের আরও বেশ কয়েক বছর সেবা দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে এরপর তার উত্তরসূরি কে হবেন, সে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেছেন তিনি। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এর স্বপক্ষে বাধ্যতামূলক যে ডিজিটাল প্রমাণপত্র, সেটি চালুর ব্যাপারেও বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন বলে জানান জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডোর দল লিবালে পার্টি হাউস অব কমনসে সংখ্যালঘু। এর অর্থ হচ্ছে সরকার পরিচালনা করতে তাকে বিরোধী দলের ওপর নির্ভর করতে হয় এবং যেকোনো সময় সরকারের পতনও হতে পারে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই এ বছরের কোনো এক সময় নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি আর কতদিন ক্ষমতায় থাকতে চান? দলের অনেক নেতা আড়ালে আবড়ালে এমন প্রশ্নও তুলেছেন।
৪৯ বছর বয়সী ট্রডো স্কুলগামী তিন সন্তানের পিতা। প্রথমবারের মতো তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে। কোভিড-১৯ সংকট এক সময় তাকে ক্লান্তও করে তোলে। তিনি নিজেও স্বীকার করেন যে, মহামারি মোকাবেলা করা সত্যিই কঠিন। তাই বলে পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা তার নেই।
তিনি বলেন, দেশের জন্য এখনও অনেক কিছু করার বাকি। তাই আরও কয়েক বছর এ দায়িত্ব পালন করতে চাই আমি।
নারী অধিকার এবং পরিবেশকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু এর পরপরই প্রথমে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পরবর্তীতে মহামারি সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ পরিস্থিতিতে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ট্রুডো। লিবারেল পার্টির অনেকেরই ধারণা, সুযোগটি ট্রুডোর উত্তরসূরী হিসেবে ফ্রিল্যান্ডকে এগিয়ে দেবে।
ফ্রিল্যান্ডের ভবিষ্যতে লিবারেল পার্টির হাল ধরার সম্ভাবনা আছে কিনা? এ প্রশ্নের উত্তরে ট্রুডো বলেন, আমার দায়িত্ব হচ্ছে, কানাডিয়ানদের সর্বোচ্চ সেবাটি যাতে দিতে পারি সেজন্য আমার চারপাশে সেরা একটি দল গঠন করা। পরের দিকে কী হবে সেটা আমি বলতে পারবো না।